Saturday, June 13, 2015

রেসিপি :- মালাই চমচম
-----------------------------
পরিবেশন - ১০-১৫টি মালাই চমচম
প্রস্তুতির সময় - ১০ মিনিট
রান্নার সময় - ৪৫-৬০ মিনিট
উপকরণ
চমচমের জন্য
পনির - ২ কাপ (বাড়িতে বানালে ১ লিটার দুধের থেকে তৈরি করুন)
চিনি - ২ কাপ
জল - ৪-৫ কাপ
কেশর - এক চুটকি
মালাইয়ের জন্য
দুধ - ২-৩ কাপ
চিনি - ২ কাপ
এলাচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
পরিবেশনের জন্য
পেস্তা - ১ টেবিল চামচ (স্লাইস)
আমন্ড - ৩-৪টি (কুচনো)
কেশর - এক চুটকি

প্রণালী
- একটি বাটিতে ভাল করে পনির মেখে নিন। যতক্ষণ না নরম ও মসৃণ হচ্ছে ততক্ষণ আঠা মাখার মতো করে ঠেসতে থাকুন। যদি মনে হয় পনির বেশী শক্ত লাগছে তাহলে হাল্কা গরম জল অল্প পরিমাণে নিয়ে ভাল করে ঠাসুন।
- ঠাসা হয়ে গেলে মাখা রনির থেকে মাঝারি মাপের লেচি কেটে নিন। এবার আঙুল দিয়ে ডিম্বাকৃতি চমচমের আকারে গড়ে নিন।
- একটি পাত্রে জল গরম করতে বসান। যখন জল ফুটতে শুরু করবে তখন তাতে চিনি ও কেশর দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে মাঝারি আঁতে চিনির রস তৈরি করে নিন।
- এর মধ্যে হাল্কা হাতে কাঁচা চমচমগুলি ছেড়ে দিন। এক মিনিট গনগনে আঁচে ফুটিয়ে নিন। তারপর আঁচ মাঝারি করে চমচমগুলি রান্না হতে দিন। ১০ মিনিট মতো ঢাকা লাগিয়ে ফুটতে দিন।
- আপনি চাইলে প্রেসার কুকারেও করতে পারেন। প্রেসার কুকারে করলে একটা সিটি দিয়ে নিন।
- পনির চমচম নরম হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে দিন। এবার এই চমচমগুলি রস থেকে তুলে রেখে ঠান্ডা হতে দিন।
- একটি অন্য পাত্রে মালাইয়ের জন্য কম আঁচে দুধ বসান। যতক্ষন না দুধ ঘন হয়ে অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ফোটান।
- এই দুধের মিশ্রণে চিনি ও এলাচগুঁড়ো মেশান। ভাল করে মিশিয়ে নিন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন।
- খোয়ার থেকে একটু পাতলা থাকার সময়ই নামিয়ে নিন দুধটা। কারণ ঠান্ডা হলে মালাইটা আরও টেনে যাবে।
- এবার একটি ধারালো ছুড়ি দিয়ে চমচম গুলি লম্বালম্বি মাঝখান থেকে অর্ধেক করে কেটে নিন।
- এবার একটি অংশে মালাই ভরে বাকি অংশটা লাগিয়ে দিন।
- আমন্ড, পেস্তা, কেশর দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আমাদের রেসিপিগুলো নিয়মিত পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাদের লাইক দিতে হবে । তাই লাইক দিন আর বেশি বেশি রেসিপি জেনে নিন
 
চিকেন নাগেট
উপকরণঃ
মুরগির মাংসের কিমা-৫০০গ্রাম
পেঁয়াজ (কেটে নেয়া) – ১টি
ডিম-১টি
পাউরুটির স্লাইস- ৬টি
ব্রেডক্রাম্ব- ১কাপ
ময়দা- ১কাপ
পানি- ১/২ কাপ
রসুনবাটা- ১চা চামচ
লবণ- ১চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো- ১/৪ চা চামচ
তেল- ভাজার জন্য


পদ্ধতিঃ
মুরগির মাংসের কিমা, পাউরুটির স্লাইস, রসুন, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ ও পেঁয়াজ একসাথে নিয়ে একটি ফুড প্রসেসরে মিক্স করে নিন। এই মিশ্রণটি একটি বাটিতে নিন এবং ১ টেবিল চামচ করে মিশ্রণ নিয়ে নাগেটের আকৃতি দিন। আরেকটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে নিন এবং পানি মেশান। এবার অপর একটি পাত্রে ব্রেড ক্রাম্ব নিন। এখন নাগেট গুলো এক এক করে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ময়দা, ডিম এবং ব্রেডক্রাম্ব মেখে নিন। কয়েকটি করে নাগেট নিয়ে ৫-৬ মিনিট ডুবো তেলে ভাজুন, সোনালি-বাদামি রঙ না আসা পর্যন্ত। টমেটো সসের সাথে উপভোগ করুন মজাদার চিকেন নাগেট।

স্বাস্থ্য রক্ষায় রসুন !
১. একটি মাঝারি সাইজের রসুনে ১ লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা রয়েছে।
২. ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যামিবিক ডিসেনট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকরী।
৩. শরীরের রোগ সংক্রমণ দূর করার জন্য একসাথে তিন কোয়া রসুন দিনে তিন থেকে চারবার চিবিয়ে খান।
৪. রক্তের চাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য প্রতিদিন তিন থেকে ১০ কোয়া রসুন খেতে পারেন।
৫. উচ্চরক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে রসুনের ভূমিকা অপরিসীম। রসুন রক্ত জমাট নিরোধী অ্যাসপিরিনের মতোই শক্তিশালী।
৬. রসুন খেতে হলে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে হবে। চিবিয়ে না খেলে রসুনের রাসায়নিক উপাদান এলিসিন নির্গত হবে না। এলিসিনই হচ্ছে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষমতা কাজে লাগানোর জন্য কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়াই উত্তম।
৭. যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপজ্জনক। রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে।
৮. অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম।
৯. রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন।
১০. শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।
  • RSS
  • Delicious
  • Digg
  • Facebook
  • Twitter
  • Linkedin
  • Youtube