Monday, December 31, 2012

কেন ধূমপান ছেড়ে দেবেন!

Posted by sofiq | 11:13 PM Categories:


জেনে-শুনে নিশ্চয়ই আপনি বিষপান করবেন না। কিন্তু জানেন কি প্রতিনিয়ত ধূমপানের মাধ্যমে আপনি তামাকের বিষাক্ত নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণ করছেন। শুনলে অবাক হবেন একটি সিগারেট চার হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা থেকে 25 টি জটিল রোগ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিবছর বিশ্বে 5 মিলিয়ন লোক মৃত্যুবরণ করছে এই তামাক সেবনের ফলে। মনে করা হচ্ছে তামাক সেবনের হার এভাবে চলতে থাকলে 2018 সালের মধ্যে মৃত্যু এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হবে তামাক সেবন। আর ধূমপানের মাধ্যমে আপনি তো তামাক সেবনই করছেন।
তামাকের বিষাক্ত নিকোটিন গ্রহণ করার ফলে প্রতিনিয়ত আপনি আপনার জীবনীশক্তি হারাচ্ছেন। ধূমপানের ফলে আপনার শরীরে দানা বাঁধছে নানা ধরনের রোগ। যে রোগগুলো আপনাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। শুধু আপনি যে নিজেরই ক্ষতি করছেন তা নয়, আপনার আশেপাশের অতি আপনজনেরও প্রায় সমপরিমাণ ক্ষতি করছেন। আর আপনার সন্তানের ক্ষতি করছেন দু’ভাবে-প্রথমত সে আপনাকে দেখে ধূমপান করা শিখছে, দ্বিতীয়ত আপনার ধোঁয়া তার শরীরেরও ক্ষতি করছে। গবেষণায় দেখা গেছে ধূমপান শিশুদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
সিগারেটের প্রতিটি টানে আপনার আয়ু কমে যায়। যেটি আপনার শুধু ক্ষতিই করে, কোনরূপ উপকার করে না, তা কেন গ্রহণ করবেন? ‘ধূমপান মুক্ত পৃথিবী’ গড়ার। নিজে ধূমপান থেকে মুক্ত থাকুন, আপনার আপনজনকেও মুক্ত রাখুন।


আমাদের ব্যস্ত প্রজন্মের খাবারের ধরণ দিন দিন বিগড়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে তাদের ত্বকে। তাই, তাদের আরো বেশি ফল ও সবজির দিকে ঝুঁকতে হবে। আপনি যদি সৌন্দর্য্য সচেতন হন তাহলে নতুন বছরের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সালাদ বেছে নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সেই সালাদ যাতে গাজরের পরিমাণ থাকবে বেশি। এই গাজরই আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয়, ত্বক রাখবে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল।

গাজরে আছে এক ধরনের হলুদ বর্ণের রঞ্জক পদার্থ, এর নাম ক্যারোটিনোয়েডস। এই উপদানটি আমাদের ত্বক কোষে পৌঁছে, একে পরিষ্কার করে এবং সেই রঞ্জক পদার্থের আভাই আমাদের ত্বকে পরিলক্ষিত হয় এবং কম সময়েই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা যায়। নিয়মিত গাজর খেলে দুই মাসের মধ্যেই ত্বকে এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়। আজকাল কোনো তরুণ-তরুণীকে যদি বলা হয় সবজি খাও, তা না হলে ৪০ বছর বয়সে গিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তখন, তারা এক গাল হেসে উত্তর দেবে বয়স ৪০’র কাছাকাছি আগে যাক এরপর তা দেখা যাবে। কিন্তু সুদর্শন কিংবা আকর্ষণীয় হতে হলে এই খাবারটি অত্যাবশ্যক তা হলে দেখবেন কেউ আর দেরি করবেন না।

গাজরের সালাদ প্রস্তুত প্রণালী:
উপকরণঃ
একঃ গাজর-২৫০ গ্রাম
দুইঃ লবণ-পরিমান মত
তিনঃ ধনেপাতা কুচি-অল্প
চারঃ রসুন পাতা বা রসুনকুচি-২ চাঃ চামচ
পাঁচঃ শুকনা লাল মরিচ-চার পাঁচটা
ছয়ঃ তিলের তেল- ২চাঃ চামচ
সাতঃ চিনি- দেড় চাঃ চামচ
আটঃ ভিনিগার বা লেবুর রস- দেড় চাঃ চামচ

পদ্ধতিঃ
গাজর ধুয়ে লম্বা ও চিকন কুচি করে কেটে নিন। লবণ মেখে একটি জালিতে রাখুন, যাতে গাজরের ভিতরের অতিরিক্ত পানি বেড়িয়ে যায়। আরেকবার পানি দিয়ে পাজরে দেয়া লবণ ধুয়ে ফেলুন এবং হাতে নিয়ে হাত দিয়ে চেপে পানি ফেলে দিন। একটি পাত্রে নিয়ে ধনে পাতা, রসুন ও মরিচ কুচি,লবণ তিলের তেল চিনি ও ভিনিগার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

স্বাস্থ্য রক্ষায় পেঁয়াজের গুণাগুণ অনেক। আমাদের হাতের নাগালে থেকেও আমরা এর অনেক গুণ সম্পর্কে ভাল করে জানি না। একটি বড় মাপের পেঁয়াজে ৮৬.৮ শতাংশ পানি, ১.২ শতাংশ প্রোটিন ১১.৬ শতাংশ শর্করা জাতীয় পদার্থ, ০.১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০৪ শতাংশ ফসফরাস ও ০.৭ শতাংশ লোহা থাকে। এছাড়া পেঁয়াজে ভিটামিন এ, বি ও সি থাকে। এবার পেঁয়াজের কিছু গুণাগুণ জানা যাক।

*ঠান্ডা লেগে মাথা ব্যথা হলে ১ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে দ্বিগুণ পানি মিশিয়ে একবার খেলে ব্যথা কমে যাবে।
*জ্বর জ্বর ভাব হলে পেঁয়াজের রস নাক দিয়ে টেনে নিলে জ্বর জ্বর ভাব চলে যাবে।
*বার বার কমি হলে চার-পাঁচ ফোঁটা পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে সেই পানি খেলে বমি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
*হেঁচকি উঠলে পেঁয়াজের রস মিশানো পানি খেলে হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
*পেঁয়াজ খেলে শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের হয়ে যায়।
*পেঁয়াজের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা ব্যাকটেরিয়া নামক গুণাগুণ রয়েছে। তাই ফোঁড়া বা ঘা হলে তা পেঁয়াজের রস দিয়ে ধুলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
*চুল ধোবার আগে মাথায় আধঘন্টা পেঁয়াজের রস মেখে রাখলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
*বাত ব্যথার রোগীরা নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে ব্যথা কম থাকবে।

Sunday, December 30, 2012

অমরত্ব-সুধা ডালিম!

Posted by sofiq | 11:03 PM Categories:

অমরত্ব-সুধা ডালিম!



ডালিমকে এ উপমহাদেশে স্বর্গীয় ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর রস বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। মানবদেহের ডিএনএর যে প্রক্রিয়ার কারণে মানুষের বয়স বাড়ে ডালিম ফলের রস নিয়মিত পান করলে তার কার্যকারিতা হ্রাস পায়। ডালিমের রসে নানা গুণের সঙ্গে বিশেষ এ গুণাবলি রয়েছে। যে কোনো দুরারোগ্য রোগের পথ্য হিসেবে ডালিমের রস নিদ্বির্ধায় পান করা যায়। এর উপকারিতা সম্বন্ধে সবার ধারণা থাকলেও তারুণ্য ধরে রাখার ব্যাপারে এ ফলের ঔষধি গুণাবলি সম্বন্ধে এর আগে কারও তেমন স্পষ্ট ধারণা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে একে যে কোনো রোগ প্রতিরোধে অমরত্ব-সুধা বা মহৌষধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগ দূর করতে এবং যৌনজীবন সুখময় করতে এ ফলের রসের জুড়ি নেই।

মধু খেলে ওজন বাড়ে!

Posted by sofiq | 11:00 PM Categories:


মধু খেলে ওজন বাড়ে!

যারা ওজন বাড়ানোর জন্য রাত-দিন শুধু চেষ্টা করে যাচ্ছেন, মধু তাদের জন্য অনেক কার্যকরী হতে পারে। মানবদেহে দুইভাবে শক্তি সঞ্চিত থাকে, চর্বি এবং সুগার রূপে। ওজন বাড়ানোর জন্য সাধারণত আমরা মনে করি বেশি করে চর্বি জাতীয় খাবার খেলেই যথেষ্ট। কিন্তু এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। যারা পরিশ্রম করেন তারা দিনভর চর্বি জাতীয় খাবার খেলেও কোনো লাভ হবে না। তাদের জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি সুগার। যা দেহের কোষে কোষে জমে থাকে এবং খুব সহজে নিঃসৃত হয় না। তখন বেশি পরিশ্রমেও ঝড়ে যায় না দেহের শক্তি।

তখন চর্বিরূপে ঝরে যাওয়া এনার্জি মধু গ্রহণের ফলে তা আবার মাংসপেশীতে পুঞ্জীভূত হয় সুগার রূপে। আর তখনই দেহ গড়নে আসে এক ধরনের পরিবর্তন।

এক টেবিল চামচ মধুতে আছে ১৭.৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। যা এক টেবিল চামচ এনার্জি এনহ্যান্সমেন্ট (শক্তিবর্ধক) জেলের মধ্যেও থাকে। কিন্তু কৃত্রিম শক্তিবর্ধকের পরিবর্তে মধুকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ।

পরিশ্রমের পর শরীরের কার্বোহাইড্রেট লেভেল নিচে নেমে যায়, যার ফলে ক্লান্তি এসে শরীরে ভর করতে পারে। কিন্তু নিয়মিত মধু গ্রহণ করলে দেহের কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা সহজে নিচে নামে না। কারণ মধুতে থাকা কার্বোহাইড্রেটগুলো দেহের বিভিন্ন অংশ সমানভাবে বিভক্ত হয়ে যায় এবং তা প্রতিটি দেহ কোষ ও মাংসপেশীতে গিয়ে জমে থাকে বলে তা সহজে ঝড়ে যায় না। আর কার্বোহাইড্রেট লেভেল অপরিবর্তিত থাকে বলে, ক্লান্তিও শরীরে ভর করে না। শক্তি পুঞ্জিভূত থাকে দেহে, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

ডিমের যত গুণ!

Posted by sofiq | 10:47 PM Categories:

ডিমের যত গুণ!


মুরগির মাংস ও ডিমে রয়েছে পুষ্টিকর খাদ্যমান কোলিন। যা খেলে মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়ে। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ কোলিন মানুষের মস্তিষ্ক সতেজ রাখে। যারা নিয়মিত ডিম ও মুরগির মাংস খায় তাদের মস্তিষ্ক অন্যদের তুলনায় সতেজ এবং স্মৃতিশক্তি বয়সের তুলনায় বেশ প্রখর। তা ছাড়া এসব খাদ্য গ্রহণকারীদের মস্তিষ্কে বুড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণ কম। এতে প্রমাণিত হয়, ডিম ও মুরগির মাংসের খাদ্যপ্রাণ কোলিন মানুষের মস্তিষ্ক ভালো রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এ দুটি খাদ্য ছাড়াও সামুদ্রিক মাছ, শিম ও শিম জাতীয় বীজ দিয়ে প্রস্তুত খাদ্যে কোলিন রয়েছে। তবে ডিম ও মুরগির মাংস খেলেই রাতারাতি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বেড়ে যাবে এমন ভাবা উচিত নয়। মোট কথা, মধ্য বয়সে ব্যালান্সড ফুড খেতে হবে।

সামুদ্রিক মাছ, শাক-সবজি ও অলিভ অয়েল জাতীয় খাবার ব্রেনের জন্য খুব উপকারী। এ ধরনের খাবার মানুষের মস্তিষ্ক সতেজ রাখার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর। একজন পুরুষের প্রতিদিন ৫৫০ গ্রাম এবং নারীর প্রতিদিন ৪২৫ গ্রাম কোলিনসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা দরকার।

এইডস প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা!

- এইচআইভি পজেটিভদের দেহ হতে যেহেতু যৌন মিলনের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায় সেহেতু সচেতনতার সাথে কন্ডম ব্যবহার করে যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়া উচিত।

- প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে রক্ত সঞ্চালন করতে হবে।

- প্রভাব বিস্তার সবচেয়ে বেশী। সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে এ ব্যাপারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করাও এখন একান্ত জরুরী।

- এইডস্ কোন ছোঁয়াছে রোগ নয়, এক সাথে বসবাস করলে, খাওয়া-দাওয়া করলে, খেলাধুলা করলে, একই বিছানায় ঘুমালে, একই থালা বাসনে খাবার খেলে, একই স্কুুল-কলেজে পড়াশুনা করলে, হাঁছি, কাশি, থুথু বা শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে অথবা একই পায়খানা ব্যবহার করলে, এক সাথে সাঁতার কাটলে, এমনকি পোকা মাকড়, মশা-মাছির মাধ্যমেও এই জীবানু ছড়ায় না।

হাত ধোয়া কি অত সহজ?

Posted by sofiq | 10:30 PM Categories:

হাত ধোয়া কি অত সহজ?



হাত ধোয়া অনেক জটিল কাজ, এবং আপনি যেভাবে ধুচ্ছেন তা বোধ হয় আপনার হাত জীবানুমুক্ত করছে না। তবে ভুল শুদ্ধ সে যাইহোক আপনি অন্তত হাত ধুচ্ছেন- একারণেই প্রশংসা পেতে পারেন।

কিন্তু হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি জানেন আপনি? যেমন ধরুন, আপনি কি জানেন যে গরম পানি হাত না ধোয়াই ভালো!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জেনে নিন হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি। বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন সামনে রেখে আজ থেকে তিন বছর আগে সংস্থাটি হাত ধোয়ার পদ্ধতি বিষয়ে একটি নির্দেশনা প্রচার করেছিল। সেখানে থেকে জেনে নেয়া যাক;

> টয়লেটে যাবার পরে এবং খাবার আগে তো বটেই, রোগির কাছে যাবার আগে, বন্য বা গৃহপালিত পশুপাখি কিম্বা ওদের মলমুত্রের সংস্পর্শে গেলে, যেকোনো ময়লা আবর্জনা ধুলাবালি হাতে লাগলে এমনকি নাক ঝাড়ার পরেও হাত ধুয়ে ফেলা জরুরি।

> এই পদ্ধতিতে মাত্র ১৫ সেকেন্ডে আপনি হাত জীবানুমুক্ত করতে পারেন।

> মাথায় তেল দেয়ার আগে এক হাতের তালুতে তেল নিয়ে যেভাবে দুই হাতের তালু দিয়ে ম্যাসাজের মতো করেন, ঠিক সেভাবে সাবান হাতে লাগিয়ে দুই হাতের তালু একটা আরেকটার সাথে ঘষে নিন।

> এরপর এক হাতের তালু অন্য হাতের পিঠে লাগিয়ে সাবান ফেনা মাখিয়ে নিন।

> হাতের তালু ও পিঠে সাবান লাগানে হলে এক হাতের আঙুল দিয়ে অন্য হাতের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে ঘষে নিন।

> এরপর পরিস্কার পানিতে ধুয়ে নিন। গরম পানি ব্যবহার করবেন না। কারন তাতে হাতের তালুতে একধরনের এলার্জি দেখা দিতে পারে।

> হাত মোছার জন্য গামছা তোয়ালে বা অন্য কোনো বস্ত্রখন্ড ব্যবহার করলে নিশ্চিত করুন যে, ওটা শুধু আপনিই ব্যবহার করেন। সবার জন্য আলাদা গামছা তোয়ালের ব্যবস্থা করা না গেলে টিস্যু পেপার ব্যবহার করা ভালো।

> হাত ধোয়ার মতই গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে হাত মোছা। এমনভাবে মুছবেন যাতে খটখটে শুকনো হয়ে যায় হাত।

> হাত ধোয়া শেষ হবার পরে সেই হাতে পানির ট্যাপ বন্ধ করতে যাবেন না। কারন, আপনার হাতের চেয়ে ওই ট্যাপটা অবশ্যই নোংরা। গামছা বা তোয়ালে চেপে ট্যাপ বন্ধ করুন।

তবে সাধারন হাত ধোয়া ছাড়াও বিশেষ বিশেষ কাজে বিশেষভাবে হাত ধোয়া জরুরি।

লিপস্টিকে আইকিউর ক্ষতি!

Posted by sofiq | 10:22 PM Categories:

লিপস্টিকে আইকিউর ক্ষতি!

নারীর সৌন্দর্যচর্চার অন্যতম অনুষঙ্গ লিপস্টিক। ঠোঁটকে নানা রঙে আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে তুলতে লিপস্টিকের জুড়ি নেই। কিন্তু এই লিপস্টিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির অনুষঙ্গ হিসেবে যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ক্ষেত্র বিশেষে ততটা ক্ষতিকর। সম্প্রতি বোস্টনের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, আইকিউ বা বুদ্ধিমত্তার জন্য লিপস্টিক ক্ষতিকর। ২২টি ব্র্যান্ডের লিপস্টিকের ওপর গবেষণা করে গবেষকরা জানিয়েছেন, এসব লিপস্টিকের প্রায় ৫৫ শতাংশে যথেষ্ট পরিমাণ বিষাক্ত উপাদান
পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানী দলের প্রধান সিন প্যালফ্রে জানান, লিপস্টিকের এসব বিষাক্ত উপাদান শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক ক্ষতিও করে। লিপস্টিকের সিসা জাতীয় উপাদান আইকিউর ওপর আঘাত হানতে পারে। আচার-ব্যবহারের ওপর প্রভাব ফেলার পাশাপাশি শেখার ক্ষমতাও কমিয়ে দেয় এই সিসা।
প্যালফ্রে জনসাধারণকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে বলেন, সাধারণত গণস্বাস্থ্য নিয়েই সবাই অধিক উদ্বিগ্ন থাকে। কিন্তু কখনোই সৌন্দর্যবর্ধক সামগ্রীর উপাদান খতিয়ে দেখা হয় না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও প্রসাধনী বিষয়ক বিভাগ লিপস্টিকের উপাদান ও এর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে।

বিষণ্নতা কমায় টমেটো!

Posted by sofiq | 10:13 PM Categories:

বিষণ্নতা কমায় টমেটো!

সপ্তাহে কয়েকবার টমেটো খেলে বিষণ্নতায় ভোগার আশঙ্কা অর্ধেক হ্রাস পেতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ দাবি করা হয়েছে। গবেষকরা ৭০ বা তার বেশি বয়সী এক হাজার জাপানি নারী-পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যের রেকর্ড ও খাদ্যাভ্যাস বিশ্লেষণ করেন। এতে দেখা যায়, সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে ছয় বার যারা টমেটো খেয়েছেন তাদের বিষাদে ভোগার হার অন্যদের তুলনায় ৪৬ শতাংশ কম। প্রতিদিন টমেটো খেলে বিষণ্নতায় ভোগার হার
৫২ শতাংশ হ্রাস পায়। গবেষণায় দেখা
যায়, অন্য ফলমূল ও শাক সবজিতে টমেটোর মতো সমান উপকার পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যকর ফলমূল বা সবজি যেমন গাজর, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ ও কুমড়া মানসিকভাবে ভালো থাকার ওপর তেমন কোনো প্রভাবই ফেলে না।

২০ শতাংশ লোকই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে বিষণ্নতায় ভোগেন। পুরুষের চেয়ে নারীদের এ সমস্যা বেশি। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিষণ্নতা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

টমেটো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রাসায়নিক পদার্থসমৃদ্ধ। এটি অন্যান্য রোগ থেকেও সুরক্ষা দেয় বলে ধারণা করা হয়। টমেটো লাইকোপেনের একটি ভালো উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটির কারণেই টমেটো গাঢ় লাল রঙের হয়। প্রোস্টেট ক্যান্সার ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে। চীন ও জাপানের একদল গবেষক বিষণ্নতা হ্রাসে টমেটোর এ ভূমিকা খুঁজে পান। তাদের এ গবেষণাকর্ম জার্নাল অব এফেক্টিভ ডিজঅর্ডারস নামের একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র: মেইল অনলাইন।

কোমল পানীয় সহিংস করে তোলে!

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানিয়েছেন, সপ্তাহে ৫ ক্যান কোমল পানীয় পান করলে সহিংস হয়ে ওঠার পাশাপাশি সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে ঘোরার মতো কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে তরুণরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ভারমন্টের গবেষক ড. সারা সোলনিক জানিয়েছেন, সপ্তাহে মাত্র ২টি জমিয়ে রাখা ক্যানের পানীয় পান করলেই তরুণরা বন্ধুদের প্রতি আগ্রাসী মানসিকতা দেখায়। এমনকি সফট ড্রিঙ্ক বা কোমল পানীয় ৫ ক্যান বা তার বেশি খেলে অ্যালকোহল বা ধূমপানের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায়।

গবেষক সোলনিক আরো জানিয়েছেন, যতো বেশি কোমল পানীয় পান করা হয় মনোভাব ততোই আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেখা গেছে, যারা যতো বেশি কোমল পানীয়তে আসক্ত, তারা ততো বেশি আগ্রাসী এবং সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে ঘোরার কাজটিও তারাই বেশি করে।

গবেষকরা বলছেন, কোমল পানীয়ের সঙ্গে আগ্রাসী আর সহিংস মনোভাব বেড়ে যাওয়ার ঘটনাটি কেনো হয় এ বিষয়ে কোনো তথ্য এখনও তারা জানতে পারেননি। কোমল পানীয়তে চিনি থাকলেও চিনিই এর একমাত্র কারণ নাও হতে পারে বলেই গবেষকদের মত।

গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ইনজুরি প্রিভেনশন সাময়িকীতে।










২০২০ সাল নাগাদা আরও স্বাস্থ্যসম্মত এবং আরো অনেক অভাবনীয় সুবিধা নিয়ে বাজারে আসবে প্রস্তাবিত এই কন্টাক্ট লেন্স।



কম আলো এবং রাতে আলাপের সুবিধা।
চেহারা সনাক্তকরণ।
তাপনিয়ন্ত্রিত ক্যামেরা।
কম্পিউটারের সাথে তারবিহীন সংযোগ।
পরাবাস্তব চিত্র।
স্যাটেলাইট সংযোগ রক্ষাকারী গ্লোবাল পজিশনিং লোকেটর।
সেল ফোন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস সনাক্তকারী ডিভাইস।
ইন্টারনেট।

এর ফোকাসিং রিং স্বাভাবিক দৃষ্টিসীমার চেয়েও অনেক বেশি দূরত্বের বস্তু সনাক্ত করতে সক্ষম হবে।

মানবদেহের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ভেষজ ওষুধ!

এক সময় মানুষ চিকিৎসার ক্ষেত্রে পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিল প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের (উদ্ভিজ্জ, প্রাণিজ ও খনিজ) ওপর। সে সময় তারা গবেষণা করে দেখলেন উদ্ভিজ্জ, প্রাণিজ ও খনিজ যেসব উপাদান রয়েছে তা বেশির ভাগই মানুষের দেহের বিভিন্ন অংশের ওপর কার্যকর ভূমিকা রাখে। সে সব উপাদান সংশ্লিষ্ট অঙ্গগুলোর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। মানব দেহের বিভিন্ন অংশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বস্তু দিয়ে ওই অংশের চিকিৎসা করা যায়। যেমন-

১. সুপারি ফলের খোসা ছাড়ানোর পর এটি দেখতে মস্তিষ্কের মতো। সুপারির ভেতরের ভাঁজ মস্তিষ্কের খাঁজের মতো। এতে রয়েছে এনেকোলিন নামক রাসায়নিক উপাদান, যা মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। বিজ্ঞানীরা সুপারি থেকে অনেক ওষুধ তৈরি করেছেন, যা মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে। এক-তিনটি সুপারি অর্ধেক করে ২৫০ এমএল পানিতে ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

২. টমেটোর সাথে মানুষের হার্ট সাদৃশ্যপূর্ণ। হৃৎপিণ্ডের চারটি প্রকোষ্ঠ আছে। টমেটোরও চারটা প্রকোষ্ঠ রয়েছে। এতে আছে লাইকোপেন, যা হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। হার্টের সুস্থতার জন্য পথ্য হিসেবে প্রতিদিন দু
টি করে টমেটো খেতে হবে।

৩. আলুবোখারা দেখতে লিভারের মতো। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা পুরনো পিত্ত বের করে নতুন পিত্ত তৈরি করে। প্রতিদিন কাঁচা বা শুকনো আলুবোখারা দু-একটি করে এক মাস সেবন করলে পিত্ত বিকারজনিত রোগের উপশম হয়।

৪. পেঁপে দেখতে পাকস্থলীর মতো। এতে পেপাইন নামক অ্যানজাইম রয়েছে, যা হজমশক্তি বৃদ্ধি ও অজীর্ণ নাশে কার্যকর ভূমিকা রাখে। 

৫. পাকা পেঁপে ৮০-১০০ গ্রাম এবং কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে ১০০-১৫০ গ্রাম পরিমাণ খেলে উপকার হয়।

অনিদ্রায় ভোগে অর্ধেক মানুষ!

রাতে কি আপনার ঘুম কম হচ্ছে অথবা হচ্ছেই না? ঘুম নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন? ভাবছেন, সবাই ঘুমাচ্ছে কিন্তু আপনিই শুধু ঘুমাতে পারছেন না? আপনার জন্য সান্ত্বনার সংবাদ হলো, ব্রিটেনের প্রায় অর্ধেক মানুষই রাতে স্বাভাবিক পরিমাণে অর্থাৎ নিশ্চিন্তে ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না। ফলে ঘুমের অভাবে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন তাঁরা। এক গবেষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা।

স্কটল্যান্ডের দ্য ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগোর অধ্যাপক এবং স্লিপিও নামক সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা কলিন এসপাইয়ের নেতৃত্বে একদল গবেষক ব্রিটেনের প্রাপ্তবয়স্ক ১২ হাজার ব্যক্তির ওপর এ গবেষণা চালায়।

গবেষণায় এসব ব্যক্তির ঘুমের প্রকৃতি ও এর প্রভাব সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা চলে। এতে দেখা যায়, ৫১ শতাংশ মানুষের চোখেমুখে নিয়মিতই ঝিমানো ভাব লেগে থাকে অর্থাৎ রাতে এসব মানুষের ভালো ঘুম হয় না। এর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরাই অধিক পরিমাণে অঘুমের যন্ত্রণা ভোগ করে থাকেন। এই হিসেবের মধ্যে রয়েছে নারী ৭৫ শতাংশ, পুরুষ ২৫ শতাংশ।

জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটেনের ৫৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সম্পর্কজনিত সমস্যায় ভোগেন। সম্পর্কের নানা টানাপড়েনে ৭৭ শতাংশ উদাসীন বনে যান, ৬৪ শতাংশ কামকাজে পিছিয়ে পড়েন, ৮৩ শতাংশ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত এবং ৯৩ শতাংশ শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক কলিন বলেন, অনিদ্রা শুধু মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ক্ষতিকর প্রভাবই ফেলে না, ক্রমাগত অনিদ্রা শরীরে বড় ধরনের অসুখের সৃষ্টিও করতে পারে।’ তিনি জানান, নিয়মিত অনিদ্রার ফলে মানসিক সমস্যা সৃষ্টির পাশাপাশি ডায়াবেটিসের মতো অসুখও শরীরের বাসা বাঁধতে পারে। অনিদ্রা দূর করার জন্য নিয়মমাফিক জীবনাচরণের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে তিন হাজার প্রাপ্তবয়স্কের ওপর পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ স্বীকার করেছে রাতে তাঁরা পরিমাণমতো ঘুমাতে পারেন না। ৫৭ শতাংশ বিছানায় শুয়ে থাকলেও কাজকর্ম ও টাকা-পয়সার দুশ্চিন্তায় তাঁদের ঘুম আসে না বলে জানিয়েছেন।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, রাতে ১০ জনের মধ্যে একজন ই-মেইল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, ৬ শতাংশ তাঁদের সঙ্গী কখন বাসায় ফিরবেন, তাঁর অপেক্ষায় বসে থাকেন, ২৬ শতাংশ গান-বাজনা শোনায় মগ্ন থাকেন এবং ১৮ শতাংশ যৌনকর্মের কারণে রাত জাগেন।

আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অনেক নারীই যেকোনো সমস্যার মধ্যেও নাক ডেকে ঘুমাতে পারেন। ঘুম পেলে কোনো ধরনের সমস্যাই তাঁদের আটকাতে পারে না। এর মধ্যে ২১ শতাংশ নারী ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমিয়ে থাকেন, যেখানে পুরুষের বেলায় তা ১৪ শতাংশ।

সকালে পানি (সহনীয় মাত্রায়) পানের ৫টি সুফল!

#১- লসিকাতন্ত্রের সমতাবিধান করে। এর গ্রন্থিগুলো আপনার শরীরে ফ্লুইডের সমতা এবং জীবাণুর সংক্রমন থেকে আপনাকে রক্ষা করে।
#২- ত্বকের দীপ্তি বাড়ায়। 
#৩- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
#৪- নতুন রক্তকোষ এবং পেশীকলার উৎপাদন ত্বরাণ্বিত করে।
#৫- খালি পেটে পানি পান করলে আপনার অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং দেহ পুষ্টিকণা হজমে
অনেক সময় দেখা যায় অনেক চেষ্টা, ব্যায়াম এবং ডায়েট মেনে চলার পরেও ফিট থাকা কঠিন হয়ে যায়। এর পেছনে মূল কারণ হতে পারে আমাদের রক্তের গ্রুপ। তাই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমাদের রক্তের গ্রুপ বুঝে খ্যাদ্য নির্বাচন করতে হবে। আর রক্তের গ্রুপ বুঝে খাদ্য নির্বাচনেরএই পদ্ধতিটির নাম ব্লাড গ্রুপ ডায়েট
 সুস্বাস্থ্যের রহস্য লুকিয়ে আছে আমাদের রক্তের মধ্যে। কিন্তু আমরা তা না বুঝে আমদের জন্য উপকারী খাদ্যগুলোকে অনেক সময় এড়িয়ে যাই। আমাদের রক্তের গ্রুপ অর্থা , বি, এবি অথবা বুঝে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।
 একেক ধরনের রক্তের গ্রুপধারীদের পাচক প্রক্রিয়া একেক রকমের হয়ে থাকে। পাচক প্রক্রিয়ার এই ভিন্নতার জন্য প্রধান হিসেবে লেকটিনকে বিবেচনা করা হয়। যদি আমরা এমন কিছু খাই যা আমাদের লেকটিনের উপযোগী না তাহলে তা আমাদের দেহের উন্নয়নে কোনো কাজেই আসবে না। কিন্তু লেকটিনের চাহিদা বুঝে খাদ্য গ্রহণ করা গেলে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি, দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
যাদের রক্তের গ্রুপ (পজেটিভ এবং নেগেটিভ উভয়ই), তারা সবজির ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারেন। সবজি কখনোই তাদের নিরাশ করবে না। সবজির পাশাপাশি নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে সুস্বাস্থ্য অর্জন আরো সহজ এবং দ্রুত হবে। তবে এই গ্রুপের রক্তধারীদের উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন।
 রক্তের গ্রুপ যাদের বি, তারা বেশি করে দুধ খেলে দ্রুত উপকার পাবেন। কিন্তু যদি ভুট্টা, মটরশুঁটি এবং বাদাম জাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে যান তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ এই খাবারগুলোর উপকারী উপাদন বি গ্রুপের মানুষদের দেহে খুব বেশি কাজ করে না।
অন্যদিকে এবি গ্রুপের মানুষরা এবং বি দুই গ্রুপের জন্য উপকারী খাবারগুলো খেতে পারবে। কারণ এরা দুই গ্রুপের মধ্যেই পরে।
তবে সবচেয়ে খুশির খবর হচ্ছে গ্রুপধারীদের জন্য। এরা ইউনিভার্সালি একসেপ্টেড গ্রুপ
এই গ্রুপের মানুষের দেহে সব ধরেনর পুষ্টিকর খাবারই দ্রুত কাজে আসে। এদের জন্য কোনো বিশেষ ব্লাড গ্রুপ ডায়েট নেই।
তবে, ব্যায়ামের ক্ষেত্রে একেক গ্রুপের মানুষকে একেক রকমের পদ্ধতি। গ্রপের জন্য দৌড়ানো ভালো, বি গ্রুপের জন্য হাঁটা অনেক উপকারী এবং গ্রুপের জন্য যোগব্যায়াম ভালো ফল দিবে।
তবে সাবধান, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। সব কিছুর পরিমিত মাত্রা, সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য সবচেয়ে উত্তম।
---------------------------------------------------------------------------
সুস্থতার অভিজাত মুখপাত্র .::দেহ::. জীবনের ঠিকানা।

  • RSS
  • Delicious
  • Digg
  • Facebook
  • Twitter
  • Linkedin
  • Youtube