Friday, February 15, 2013


সরিষার তেলের গুনাগুণ ( এন্টি ব্যাকটেরিয়াল তেল)

















শীতের সময় সরিষার তেলের মালিশ শরীর কে উষ্ণ রাখে । নিয়মিত এই তেল মালিশ করলে বাতের ব্যাথায় উপকার পাওয়া যায় । এ ছাড়াও সাধারণ সর্দি কাশি , ব্যাথায় তে এই তেলের ব্যবহার উপকারী।
অন্যান্য গুনাগুণঃ
১.শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা হৃদরোগের সম্ভবনা হ্রাস করে
২.নিদ্রাহীনতা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক
৩.সন্ধিস্থলের ব্যাথা হ্রাস করে
৪.শ্বাস কস্টের প্রদাহ হ্রাস করে
৫.চুলের মান উন্নত করা , খুসকি দূর করে এবং চুল বৃদ্ধি করে
৬.মাথা ব্যথা কমায়
৭.দাঁত মজবুত করে এবং ব্যাথা কমায়
৮.শুষ্ক ত্বক মসৃণ ও কোমল করে
৯.ঠোঁটের শুস্কতা দূর করে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করে
১০.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
১১.নাকের বদ্ধভাব দূর করে
১২.কানের ব্যাথায় কানের ড্রপের বিকল্প
১৩.সামান্য কাটা ছেঁড়ায় এন্টিসেপটিক এর কাজ করে


তথ্য সুত্র- ইন্টারনেট

ডিমের পুষ্টিগুণ

















ডিম প্রোটিনসমৃদ্ধ, সহজপাচ্য আদর্শ খাদ্য। আমাদের দেশে দুই ধরনের ডিম পাওয়া যায়_ ফার্মের ডিম ও দেশি ডিম। অনেকের ধারণা, ফার্মের ডিম ও হাঁসের ডিমে কোনো পুষ্টিগুণ থাকে না। আসলে তা নয়। পুষ্টিগুণের কথা বিবেচনা করলে দেখা যায়, ফার্মের ডিম ও হাঁসের ডিম যেহেতু আকারে বড়, তাই এতে পুষ্টিগুণও বেশি থাকে। একটি ফার্মের ডিমে ক্যালরি আছে ৮০ এবং দেশি মুরগির ডিমে ক্যালরি আছে মাত্র ৫০।

বাজারে যেসব ফার্মের ডিম পাওয়া যায় তাতে ৮ গ্রাম প্রোটিন ও ৬ গ্রাম চর্বি রয়েছে। ডিমের কুসুমে রয়েছে ২৫০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, যা সম্পৃক্ত চর্বি। তবে ডিমের কুসুম সহজে হজম হয়। সিদ্ধ, পোচ, অমলেট_যেভাবেই ডিম খাওয়া হোক না কেন, এর পুষ্টিগুণে তারতম্য হয় না।

কারা খাবেন
হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম বাদ দেওয়াই ভালো। রুগ্ণ ও ভগ্নস্বাস্থ্য ভালো করার জন্য এবং গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ডিম আদর্শ খাবার। রিউমেটিক রোগীদের দেহে ডিম ভালো কাজ করে। জন্ডিস, পেটের পীড়ায় ডিম কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়া ঘটায় না। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ ও কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ডিম প্রয়োজন।


সুত্র- ইন্টারনেট।

ব্ল্যাক-টি দূরে রাখে ক্যান্সারকে..



















ব্ল্যাক-টি দেহের মৃত কোষ এবং ক্যান্সারের কোষগুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

দুটি পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন এবং ব্ল্যাক-টি তে পাঁচ ধরনের সবজি এবং দুটি আপেলের সমপরিসাণ পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা দেহের ক্ষতিকর অনুগুলো বিরুদ্ধে লড়ে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী সেইসব অণু ও কোষগুলোতে ধ্বংস করে। তাই গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, যদি ক্যান্সার থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন দুই কাপ ব্ল্যাক-টি খাওয়া যেতে পারে।

আমেরিকায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক-টি এবং ওলং চাইনিজ-টি তে theaflavin-2(TF-2) নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে ভালো কাজ করে। এই উপাদনটি খুব কম পানীয় এবং খাবারেই পাওয়া যায়।

ভারতের একদল গবষেকের পরিচালিত অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন এবং ব্ল্যাক-টি অনেকাংশে কমায় ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি।

এই দুই গবেষণার সম্মিলিত ফলাফল হিসেবে লেখা একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্ল্যাক-টি সব ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ৭৭ থেকে ৯২ শতাংশ।

এর ওপর এখনো আরো বিস্তারিত গবেষণা চলছে ডেইলি এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে টি অ্যাডভাইজরি প্যানেলর প্রধান ড. টম বন্ড।


সুত্র- ইন্টারনেট

আদা

Posted by sofiq | 8:43 AM Categories:




















আদা 
এই ঠান্ডায় আদা ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

বমি বমি ভাব দূর করতে এর ভূমিকা অপরিহার্য। তাই বমি বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায়।

অসটিও আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসএই অসুখগুলোয় সারা শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে প্রচুর ব্যথা হয়। এই ব্যথা দূর করে আদা। তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি।

মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিসজনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা। গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে। কাঁচা আদা দূর করবে এ সমস্যা।

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।

দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে।

এই ঠান্ডায় টনসিলাইটিস, মাথাব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, বসন্তকে দূরে ঠেলে দেয় আদা। ওভারির ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা।

চালতা

Posted by sofiq | 8:40 AM Categories:


এটি মহিলাদের জন্য উপকারী। কারো কারো মতে, চালতা গর্ভপাত-পরবর্তী সমস্যাগুলো প্রতিরোধে সহায়তা করে। এমনকি এটি জরায়ু ও স্তনের ক্যান্সার পর্যন্ত প্রতিরোধ করে। পুরুষের অকাল বীর্যস্খলন, দুর্বলতা ও শুক্রাণুর স্বল্পতা নিরাময়ে চালতা উপকারী ভূমিকা রাখে।
চালতা ভিটামিন এ ও সি পূর্ণ একটি ফল; তাই স্কার্ভি ও লিভারের সমস্যার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। রক্ত পরিশোধন ও ডিটক্সিফিকেশনে চালতা সহায়তা করে। এ ছাড়া যাঁদের কিডনিতে সমস্যা আছে, তাঁরা নিয়মিত চালতা খেলে উপকার পাবেন। চালতার পাতা ঠাণ্ডা ও কাশির জন্য উপকারী। চালতা গাছের কষ বা আঠায় ডায়াবেটিক রোগ নিরাময়ের উপাদান আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম চালতায় ১৪০ কিলোক্যালরি শক্তি আছে, যা কিনা শক্তিবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

বিভিন্ন রোগে চালতার ব্যবহার
ডায়রিয়া বা পাইলসের জন্য চালতার কোমল মাংস ভর্তা করে বীজ ছাড়িয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
হজমের গোলযোগজনিত সমস্যায় চালতার কোমল মাংসের সঙ্গে এলাচি, জিরা এবং মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হবে।
বাচ্চাদের পেটের সমস্যায় চালতা পাতার রস, দুধ ও চিনি মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

সুত্র- দৈনিক কালের কন্ঠ
ভালো রাখুনকিডনি















যারা কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের খাওয়াদাওয়া নিয়মমাফিক হওয়া প্রয়োজন। তাহলে আপনি অনেকটা ভালো থাকতে পারবেন। কিডনি সমস্যায় কী ধরনের খাওয়াদাওয়া করবেন তা নিয়ে এবারের আয়োজন

কিডনি সমস্যায় সাধারণত শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি, লবণ ও পটাসিয়াম নির্গমনে অসুবিধা দেখা যায়। কিডনির কার্যপ্রক্রিয়া ধীর গতিতে হলে বা কিডনি ফেলিওর হলে শরীরে ফসফরাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফসফরাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে হাড় থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ক্ষয় শুরু হয়। এর থেকে অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সময়ে পটাসিয়াম ও সোডিয়ামসমৃদ্ধ খাবার, লবণ ও ফসফরাসসমৃদ্ধ খাবার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী মেপে পানি পান করুন। কারণ কিডনির অতিরিক্ত পানি ফ্লাশ আউট করার ক্ষমতা কমে যায়।

কী ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন

পটাসিয়ামসমৃদ্ধ ময়দা, কমলা লেবু, কলা, খেজুর, টমোটো, আলু, কুমড়া, পালংশাক না খাওয়াই ভালো।

ফসফরাসসমৃদ্ধ ভাত, সয়াবিন, গাজর, সরষে, গরুর দুধ।

লবণ কম পরিমাণে খাবেন। অতিরিক্ত লবণ হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা তৈরি করে।

কী ধরনের খাবার খেতে পারেন

ফলের মধ্যে আঙুর, নাশপাতি, আপেল, তরমুজ খেতে পারেন।

সবজির মধ্যে শসা, লেটুস, পেঁয়াজ, ফুলকপি খেতে পারেন।

কিডনি ভালো রাখতে

++ কিডনির কার্যকলাপ ভালো রাখার জন্য শুরু থেকেই বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।

++ ঘন ঘন পেইন কিলার না খাওয়াই ভালো।

++ সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। খুব কম পরিমাণে পানি পান করলে রেনাল সিস্টেমের ওপর প্রেসার পড়তে পারে।

++ ক্রোনিয়াম কম্পাউন্ড রয়েছে এমন স্পোর্টস ড্রিংক এড়িয়ে চলুন।

++ লিভারের মতো কিডনি ভালো রাখার জন্য অ্যালকোহল ও সিগারেট কম পরিমাণে খেতে পারলে ভালো হয়। কারণ অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও সিগারেট রেনাল সিস্টেমের ওপর প্রেসার ফেলে।

++ ডায়াবেটিক প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। ফ্যাট ও অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

++ কিডনি সংক্রান্ত ডায়েট চার্ট মেনে চলুন।

++ কিডনিতে বিশেষ কিছু সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন।

সুত্র- দৈনিক ইত্তেফাক।

আলুর পুষ্টিগুণ

Posted by sofiq | 8:33 AM Categories:

আলুর পুষ্টিগুণ


















আলু সোলানেসি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একটি কার্বোহাইড্রেট ও কন্দযুক্ত শস্য। এর বৈজ্ঞানিক নাম সোলানাম টিউবেরোজাম। বিশ্বে উচ্চহারে অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত শস্যের তালিকায় আলুর স্থান চতুর্থ।

যার প্রথম তিনটি হচ্ছে যথাক্রমে- ধান, গম ও ভুট্টা। আলুর জন্মস্থান পেরু হলেও বর্তমানে আলুর শতকরা ৯৯ ভাগই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আলু উৎপাদিত হয়ে থাকে।

বর্তমানে আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে চীন প্রথম স্থান ও ভারত দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। আলুতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এতে আছে ক্যারোটিনয়েড ও পলিফেনলের মতো প্রয়োজনীয় ফাইটোকেমিক্যাল। পুষ্টিমান বিবেচনায় আলুর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর কার্বোহাইড্রেট উপাদান। একটি মাঝারি আকারের আলুতে রয়েছে প্রায় ২৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। আলুর কার্বোহাইড্রেট অংশের উল্লেখযোগ্য অবস্থা হচ্ছে স্টার্চ।

আর খুব সামান্য হলেও স্টার্চের একটি বিশেষ অংশ আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাজে লাগে। রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ রান্নার পর শতকরা ৭ ভাগ এবং ঠান্ডা করার পর শতকরা ১৩ ভাগে উন্নীত হয়ে থাকে।

তবে সাধারণত ছালের ঠিক ভেতরের পাতলা স্তরে আলুর বেশিরভাগ পুষ্টি থাকে। এজন্য আলু ছোলা অর্থাৎ কাটা ও রান্নার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকা প্রয়োজন, নয়তো পুষ্টিমান কমে যেতে পারে।

প্রয়োজনীয়তা- কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালরিসমৃদ্ধ আলু আমাদের শারীরিক শক্তির উৎস। ভিটামিন-'সি', ভিটামিন-'বি'৬, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবারে সমৃদ্ধ থাকার কারণে আলু আমাদের শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি খুব সহজেই মেটাতে পারে।

মিষ্টি আলুতে ক্যালরি খুব কম এবং প্রায় ফ্যাট নেই বললেই চলে। তাই যাদের ক্ষেত্রে ক্যালরি-ফ্যাটে সমস্যা তারাও আলু খেতে পারবে। আলুতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, পটাশিয়াম ও ভিটামিন-'এ', যা খুবই প্রয়োজনীয়। এনার্জি বা শক্তি উৎপাদক হিসেবে আলু খুবই নির্ভরযোগ্য একটি খাদ্য।

আলু থেকে প্রাপ্ত শক্তি লাইকোজেন হিসেবে মাংসপেশি ও লিভারে সঞ্চিত থাকে। তাই শারীরিক ব্যয়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য আলু একটি উত্তম খাদ্য। আলু কম মাত্রায় সোডিয়ামযুক্ত, প্রায় ফ্যাটমুক্ত ও সহজে হজমযোগ্য হওয়ার কারণে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখা যায়।

স্টমাক আলসার বা পাকস্থলীর ক্ষত নিরাময়ে ও কোলন বা অন্ত্রের ফুলে যাওয়ায় আলু খুবই উপকারী। উচ্চমানের ফাইভার থাকায় হেমোরয়েড বা অর্শ্ব রোগেও আলু খুব সাহায্য করে থাকে। উচ্চমানের ভিটামিন-'এ'-এর সমৃদ্ধতার কারণে গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি ও এপিথেলিয়াল টিস্যুযুক্ত অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে আলু সাহায্য করতে পারে। আলু রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি একটি উপকারী খাদ্য।

হার্ট-অ্যাটাক বা স্ট্রোক প্রতিরোধেও আলু সাহায্য করে থাকে। পটাশিয়াম থাকার কারণে আলু আমাদের দেহ কোষে ইলেক্ট্রোলাইট ও ফ্লুইডের সমতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। হার্টের স্বাভাবিক কাজকর্মে সাহায্য করার পাশাপাশি ব্লাডপ্রেসারও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

সুত্র- ইন্টারনেট।

Monday, February 4, 2013


প্রোটিনের উৎস শিম........


শিম সুস্বাদু, পুষ্টিকর, আমিষের একটি ভালো উৎস। এটি সবজি হিসেবে এবং এর শুকনো বীজ ডাল হিসেবে খাওয়া হয়। শিমের পরিপক্ব বীজে প্রচুর আমিষ (প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ) ও স্নেহজাতীয় পদার্থ আছে। শিমগাছ শিকড়ের সাহায্যে বাতাস থেকে নাইট্রোজেন আবদ্ধ করে মাটিকে উর্বর করে।
শিমের পুষ্টি উপাদান
আহার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রামে কচি শুঁটিতে পানি ৮৫ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৮ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩ গ্রাম, শর্করা ৬.৭ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম , খনিজ লবণ ০.৪ গ্রাম, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ২১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৭ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৮৭ মাইক্রো মিলিগ্রাম এবং আঁশজাতীয় উপাদান বিদ্যমান।
পরিপক্ব শুঁটিতে পানি কম থাকে এবং কিছু উপাদান বেশি থাকে। যেমন_শ্বেতসার ৬০ গ্রাম, আমিষ ২৫ গ্রাম, স্নেহ ০.৮০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম, তাপশক্তি ৩৪০ কিলোক্যালরি।
উপকারিতা
- আঁশ-জাতীয় অংশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ডায়রিয়ার প্রকোপ কমায়।
- রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা প্রকারান্তরে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
- পাকস্থলী ও প্লিহার শক্তি বাড়ায়, শরীরের ভেতরের গরম ভাব দূর করে।
- লিউকোরিয়াসহ মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, শিশুদের অপুষ্টি দূরীভূত করে।
- মাছসহ বিভিন্ন খাবারের ফুড পয়জনিং প্রতিরোধী অ্যান্টিডোট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
- শিমের ফুল রক্ত আমাশয়ের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।
সতর্কতা
শিমে সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর সায়ানোজেনিক গ্লুকোসাইড আছে। কাজেই শিম পরিমাণে খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। শুকনো শিমে এই উপাদানের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি। তাই শিমের শুকনো বিচি রান্না করার সময় অবশ্যই একবার পানি পরিবর্তন করা উচিত। শিম খেলে অনেক সময় বমি বমি ভাব হতে পারে।

আমলকির উপকারিতা.........

Posted by sofiq | 12:06 AM Categories:



১)শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে আমলকির জুড়ি নেই। ভিটামিন সি এর অভাবে যেসব রোগ হয়, যেমন - স্কার্ভি, মেয়েদের লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

২)হার্টের রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকি তৃষ্ণা মেতে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে।

৩)আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে।এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।

৪)পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে উপকার হয়।

৫)বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘন্টা দুই বাদে সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়। নিয়মিত কয়েক টুকরো করে আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে। আমলকি খিদে বাড়ায়, শরীর ঠান্ডা রাখে।

৬)বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। আমলকি থেকে তৈরী তেল মাথা ঠান্ডা রাখে। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।

Sunday, February 3, 2013


সুস্হ্য থাকার জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফল থাকা বাঞ্ছনীয়।ফল আমাদের দেহে vitamin & Minerals এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আঁশ ও পানির চাহিদাও পূরণ করে।ফলের ভিতর কিছু ফল আছে উচ্চ ক্যালরীর।যারা ওজন বাড়াতে চান তারা এই ফলগুলো রাখুন খাবার তালিকায়, আর যারা ওজন কমাতে চান তারা এ ধরনের ফল কিছুটা কম পরিমানে খাবেন।



উচ্চ ক্যালরীযুক্ত ফল....
আম (পাকা)-৯০ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
পাকা কাঁঠাল -৪৮ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
আঙ্গুর -৯০ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
কিশমিশ -৩০৮ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
খেজুর (তাজা) -১৪৪ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
খেজুর (শুকনা)-৩১৭ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
গাব -১১৩ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
নারিকেল -৩৭৬ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
বেল-৮৭ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
সেফদা-৯৮ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
পাকা কলা-১০৯ ক্যালরী/১০০ গ্রাম

গাব (Riverebony)

Posted by sofiq | 11:52 PM Categories:

গাব (Riverebony)

পুষ্টিগুণ: এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে।
ঔষধিগুণ: দেশী গাবের ফলের খোসার গুঁড়া আমাশয় নিরাময় এবং একজিমা ও চর্মপীড়ার মলম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। খোসা গরম পানিতে সেদ্ধ করে পান করে পান করলে পাতলা পায়খানা ও ডায়রিয়া নিরাময় হয়। পাতা ও বাকল
 গরম পানিতে সেদ্ধ করে পান করলে কৃমি, পাতলা পায়খানা, আমাশয় ও মূত্র সংক্রান্ত রোগ উপশম হয়। বিলাতি গাবের ফল রক্ত-আমাশয় ও উদারাময় রোগে ব্যবহৃত হয়। ফল মুখের ও গলার ঘা ধৌতকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার: পাকা গাব খাওয়া হয়। গাবের কষ (latex) দিয়ে মাছ ধরার জাল ও নৌকায় প্রলেপ দেওয়া হয়।
  • RSS
  • Delicious
  • Digg
  • Facebook
  • Twitter
  • Linkedin
  • Youtube