Friday, February 15, 2013


সরিষার তেলের গুনাগুণ ( এন্টি ব্যাকটেরিয়াল তেল)

















শীতের সময় সরিষার তেলের মালিশ শরীর কে উষ্ণ রাখে । নিয়মিত এই তেল মালিশ করলে বাতের ব্যাথায় উপকার পাওয়া যায় । এ ছাড়াও সাধারণ সর্দি কাশি , ব্যাথায় তে এই তেলের ব্যবহার উপকারী।
অন্যান্য গুনাগুণঃ
১.শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা হৃদরোগের সম্ভবনা হ্রাস করে
২.নিদ্রাহীনতা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক
৩.সন্ধিস্থলের ব্যাথা হ্রাস করে
৪.শ্বাস কস্টের প্রদাহ হ্রাস করে
৫.চুলের মান উন্নত করা , খুসকি দূর করে এবং চুল বৃদ্ধি করে
৬.মাথা ব্যথা কমায়
৭.দাঁত মজবুত করে এবং ব্যাথা কমায়
৮.শুষ্ক ত্বক মসৃণ ও কোমল করে
৯.ঠোঁটের শুস্কতা দূর করে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করে
১০.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
১১.নাকের বদ্ধভাব দূর করে
১২.কানের ব্যাথায় কানের ড্রপের বিকল্প
১৩.সামান্য কাটা ছেঁড়ায় এন্টিসেপটিক এর কাজ করে


তথ্য সুত্র- ইন্টারনেট

ডিমের পুষ্টিগুণ

















ডিম প্রোটিনসমৃদ্ধ, সহজপাচ্য আদর্শ খাদ্য। আমাদের দেশে দুই ধরনের ডিম পাওয়া যায়_ ফার্মের ডিম ও দেশি ডিম। অনেকের ধারণা, ফার্মের ডিম ও হাঁসের ডিমে কোনো পুষ্টিগুণ থাকে না। আসলে তা নয়। পুষ্টিগুণের কথা বিবেচনা করলে দেখা যায়, ফার্মের ডিম ও হাঁসের ডিম যেহেতু আকারে বড়, তাই এতে পুষ্টিগুণও বেশি থাকে। একটি ফার্মের ডিমে ক্যালরি আছে ৮০ এবং দেশি মুরগির ডিমে ক্যালরি আছে মাত্র ৫০।

বাজারে যেসব ফার্মের ডিম পাওয়া যায় তাতে ৮ গ্রাম প্রোটিন ও ৬ গ্রাম চর্বি রয়েছে। ডিমের কুসুমে রয়েছে ২৫০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, যা সম্পৃক্ত চর্বি। তবে ডিমের কুসুম সহজে হজম হয়। সিদ্ধ, পোচ, অমলেট_যেভাবেই ডিম খাওয়া হোক না কেন, এর পুষ্টিগুণে তারতম্য হয় না।

কারা খাবেন
হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম বাদ দেওয়াই ভালো। রুগ্ণ ও ভগ্নস্বাস্থ্য ভালো করার জন্য এবং গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ডিম আদর্শ খাবার। রিউমেটিক রোগীদের দেহে ডিম ভালো কাজ করে। জন্ডিস, পেটের পীড়ায় ডিম কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়া ঘটায় না। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ ও কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ডিম প্রয়োজন।


সুত্র- ইন্টারনেট।

ব্ল্যাক-টি দূরে রাখে ক্যান্সারকে..



















ব্ল্যাক-টি দেহের মৃত কোষ এবং ক্যান্সারের কোষগুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

দুটি পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন এবং ব্ল্যাক-টি তে পাঁচ ধরনের সবজি এবং দুটি আপেলের সমপরিসাণ পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা দেহের ক্ষতিকর অনুগুলো বিরুদ্ধে লড়ে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী সেইসব অণু ও কোষগুলোতে ধ্বংস করে। তাই গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, যদি ক্যান্সার থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন দুই কাপ ব্ল্যাক-টি খাওয়া যেতে পারে।

আমেরিকায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক-টি এবং ওলং চাইনিজ-টি তে theaflavin-2(TF-2) নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে ভালো কাজ করে। এই উপাদনটি খুব কম পানীয় এবং খাবারেই পাওয়া যায়।

ভারতের একদল গবষেকের পরিচালিত অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন এবং ব্ল্যাক-টি অনেকাংশে কমায় ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি।

এই দুই গবেষণার সম্মিলিত ফলাফল হিসেবে লেখা একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্ল্যাক-টি সব ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ৭৭ থেকে ৯২ শতাংশ।

এর ওপর এখনো আরো বিস্তারিত গবেষণা চলছে ডেইলি এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে টি অ্যাডভাইজরি প্যানেলর প্রধান ড. টম বন্ড।


সুত্র- ইন্টারনেট

আদা

Posted by sofiq | 8:43 AM Categories:




















আদা 
এই ঠান্ডায় আদা ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

বমি বমি ভাব দূর করতে এর ভূমিকা অপরিহার্য। তাই বমি বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায়।

অসটিও আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসএই অসুখগুলোয় সারা শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে প্রচুর ব্যথা হয়। এই ব্যথা দূর করে আদা। তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি।

মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিসজনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা। গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে। কাঁচা আদা দূর করবে এ সমস্যা।

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।

দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে।

এই ঠান্ডায় টনসিলাইটিস, মাথাব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, বসন্তকে দূরে ঠেলে দেয় আদা। ওভারির ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা।

চালতা

Posted by sofiq | 8:40 AM Categories:


এটি মহিলাদের জন্য উপকারী। কারো কারো মতে, চালতা গর্ভপাত-পরবর্তী সমস্যাগুলো প্রতিরোধে সহায়তা করে। এমনকি এটি জরায়ু ও স্তনের ক্যান্সার পর্যন্ত প্রতিরোধ করে। পুরুষের অকাল বীর্যস্খলন, দুর্বলতা ও শুক্রাণুর স্বল্পতা নিরাময়ে চালতা উপকারী ভূমিকা রাখে।
চালতা ভিটামিন এ ও সি পূর্ণ একটি ফল; তাই স্কার্ভি ও লিভারের সমস্যার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। রক্ত পরিশোধন ও ডিটক্সিফিকেশনে চালতা সহায়তা করে। এ ছাড়া যাঁদের কিডনিতে সমস্যা আছে, তাঁরা নিয়মিত চালতা খেলে উপকার পাবেন। চালতার পাতা ঠাণ্ডা ও কাশির জন্য উপকারী। চালতা গাছের কষ বা আঠায় ডায়াবেটিক রোগ নিরাময়ের উপাদান আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম চালতায় ১৪০ কিলোক্যালরি শক্তি আছে, যা কিনা শক্তিবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

বিভিন্ন রোগে চালতার ব্যবহার
ডায়রিয়া বা পাইলসের জন্য চালতার কোমল মাংস ভর্তা করে বীজ ছাড়িয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
হজমের গোলযোগজনিত সমস্যায় চালতার কোমল মাংসের সঙ্গে এলাচি, জিরা এবং মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হবে।
বাচ্চাদের পেটের সমস্যায় চালতা পাতার রস, দুধ ও চিনি মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

সুত্র- দৈনিক কালের কন্ঠ
ভালো রাখুনকিডনি















যারা কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের খাওয়াদাওয়া নিয়মমাফিক হওয়া প্রয়োজন। তাহলে আপনি অনেকটা ভালো থাকতে পারবেন। কিডনি সমস্যায় কী ধরনের খাওয়াদাওয়া করবেন তা নিয়ে এবারের আয়োজন

কিডনি সমস্যায় সাধারণত শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি, লবণ ও পটাসিয়াম নির্গমনে অসুবিধা দেখা যায়। কিডনির কার্যপ্রক্রিয়া ধীর গতিতে হলে বা কিডনি ফেলিওর হলে শরীরে ফসফরাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফসফরাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে হাড় থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ক্ষয় শুরু হয়। এর থেকে অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সময়ে পটাসিয়াম ও সোডিয়ামসমৃদ্ধ খাবার, লবণ ও ফসফরাসসমৃদ্ধ খাবার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী মেপে পানি পান করুন। কারণ কিডনির অতিরিক্ত পানি ফ্লাশ আউট করার ক্ষমতা কমে যায়।

কী ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন

পটাসিয়ামসমৃদ্ধ ময়দা, কমলা লেবু, কলা, খেজুর, টমোটো, আলু, কুমড়া, পালংশাক না খাওয়াই ভালো।

ফসফরাসসমৃদ্ধ ভাত, সয়াবিন, গাজর, সরষে, গরুর দুধ।

লবণ কম পরিমাণে খাবেন। অতিরিক্ত লবণ হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা তৈরি করে।

কী ধরনের খাবার খেতে পারেন

ফলের মধ্যে আঙুর, নাশপাতি, আপেল, তরমুজ খেতে পারেন।

সবজির মধ্যে শসা, লেটুস, পেঁয়াজ, ফুলকপি খেতে পারেন।

কিডনি ভালো রাখতে

++ কিডনির কার্যকলাপ ভালো রাখার জন্য শুরু থেকেই বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।

++ ঘন ঘন পেইন কিলার না খাওয়াই ভালো।

++ সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। খুব কম পরিমাণে পানি পান করলে রেনাল সিস্টেমের ওপর প্রেসার পড়তে পারে।

++ ক্রোনিয়াম কম্পাউন্ড রয়েছে এমন স্পোর্টস ড্রিংক এড়িয়ে চলুন।

++ লিভারের মতো কিডনি ভালো রাখার জন্য অ্যালকোহল ও সিগারেট কম পরিমাণে খেতে পারলে ভালো হয়। কারণ অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও সিগারেট রেনাল সিস্টেমের ওপর প্রেসার ফেলে।

++ ডায়াবেটিক প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। ফ্যাট ও অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

++ কিডনি সংক্রান্ত ডায়েট চার্ট মেনে চলুন।

++ কিডনিতে বিশেষ কিছু সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন।

সুত্র- দৈনিক ইত্তেফাক।

আলুর পুষ্টিগুণ

Posted by sofiq | 8:33 AM Categories:

আলুর পুষ্টিগুণ


















আলু সোলানেসি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একটি কার্বোহাইড্রেট ও কন্দযুক্ত শস্য। এর বৈজ্ঞানিক নাম সোলানাম টিউবেরোজাম। বিশ্বে উচ্চহারে অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত শস্যের তালিকায় আলুর স্থান চতুর্থ।

যার প্রথম তিনটি হচ্ছে যথাক্রমে- ধান, গম ও ভুট্টা। আলুর জন্মস্থান পেরু হলেও বর্তমানে আলুর শতকরা ৯৯ ভাগই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আলু উৎপাদিত হয়ে থাকে।

বর্তমানে আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে চীন প্রথম স্থান ও ভারত দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। আলুতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এতে আছে ক্যারোটিনয়েড ও পলিফেনলের মতো প্রয়োজনীয় ফাইটোকেমিক্যাল। পুষ্টিমান বিবেচনায় আলুর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর কার্বোহাইড্রেট উপাদান। একটি মাঝারি আকারের আলুতে রয়েছে প্রায় ২৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। আলুর কার্বোহাইড্রেট অংশের উল্লেখযোগ্য অবস্থা হচ্ছে স্টার্চ।

আর খুব সামান্য হলেও স্টার্চের একটি বিশেষ অংশ আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাজে লাগে। রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ রান্নার পর শতকরা ৭ ভাগ এবং ঠান্ডা করার পর শতকরা ১৩ ভাগে উন্নীত হয়ে থাকে।

তবে সাধারণত ছালের ঠিক ভেতরের পাতলা স্তরে আলুর বেশিরভাগ পুষ্টি থাকে। এজন্য আলু ছোলা অর্থাৎ কাটা ও রান্নার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকা প্রয়োজন, নয়তো পুষ্টিমান কমে যেতে পারে।

প্রয়োজনীয়তা- কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালরিসমৃদ্ধ আলু আমাদের শারীরিক শক্তির উৎস। ভিটামিন-'সি', ভিটামিন-'বি'৬, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবারে সমৃদ্ধ থাকার কারণে আলু আমাদের শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি খুব সহজেই মেটাতে পারে।

মিষ্টি আলুতে ক্যালরি খুব কম এবং প্রায় ফ্যাট নেই বললেই চলে। তাই যাদের ক্ষেত্রে ক্যালরি-ফ্যাটে সমস্যা তারাও আলু খেতে পারবে। আলুতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, পটাশিয়াম ও ভিটামিন-'এ', যা খুবই প্রয়োজনীয়। এনার্জি বা শক্তি উৎপাদক হিসেবে আলু খুবই নির্ভরযোগ্য একটি খাদ্য।

আলু থেকে প্রাপ্ত শক্তি লাইকোজেন হিসেবে মাংসপেশি ও লিভারে সঞ্চিত থাকে। তাই শারীরিক ব্যয়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য আলু একটি উত্তম খাদ্য। আলু কম মাত্রায় সোডিয়ামযুক্ত, প্রায় ফ্যাটমুক্ত ও সহজে হজমযোগ্য হওয়ার কারণে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখা যায়।

স্টমাক আলসার বা পাকস্থলীর ক্ষত নিরাময়ে ও কোলন বা অন্ত্রের ফুলে যাওয়ায় আলু খুবই উপকারী। উচ্চমানের ফাইভার থাকায় হেমোরয়েড বা অর্শ্ব রোগেও আলু খুব সাহায্য করে থাকে। উচ্চমানের ভিটামিন-'এ'-এর সমৃদ্ধতার কারণে গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি ও এপিথেলিয়াল টিস্যুযুক্ত অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে আলু সাহায্য করতে পারে। আলু রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি একটি উপকারী খাদ্য।

হার্ট-অ্যাটাক বা স্ট্রোক প্রতিরোধেও আলু সাহায্য করে থাকে। পটাশিয়াম থাকার কারণে আলু আমাদের দেহ কোষে ইলেক্ট্রোলাইট ও ফ্লুইডের সমতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। হার্টের স্বাভাবিক কাজকর্মে সাহায্য করার পাশাপাশি ব্লাডপ্রেসারও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

সুত্র- ইন্টারনেট।

Monday, February 4, 2013


প্রোটিনের উৎস শিম........


শিম সুস্বাদু, পুষ্টিকর, আমিষের একটি ভালো উৎস। এটি সবজি হিসেবে এবং এর শুকনো বীজ ডাল হিসেবে খাওয়া হয়। শিমের পরিপক্ব বীজে প্রচুর আমিষ (প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ) ও স্নেহজাতীয় পদার্থ আছে। শিমগাছ শিকড়ের সাহায্যে বাতাস থেকে নাইট্রোজেন আবদ্ধ করে মাটিকে উর্বর করে।
শিমের পুষ্টি উপাদান
আহার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রামে কচি শুঁটিতে পানি ৮৫ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৮ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩ গ্রাম, শর্করা ৬.৭ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম , খনিজ লবণ ০.৪ গ্রাম, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ২১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৭ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৮৭ মাইক্রো মিলিগ্রাম এবং আঁশজাতীয় উপাদান বিদ্যমান।
পরিপক্ব শুঁটিতে পানি কম থাকে এবং কিছু উপাদান বেশি থাকে। যেমন_শ্বেতসার ৬০ গ্রাম, আমিষ ২৫ গ্রাম, স্নেহ ০.৮০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম, তাপশক্তি ৩৪০ কিলোক্যালরি।
উপকারিতা
- আঁশ-জাতীয় অংশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ডায়রিয়ার প্রকোপ কমায়।
- রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা প্রকারান্তরে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
- পাকস্থলী ও প্লিহার শক্তি বাড়ায়, শরীরের ভেতরের গরম ভাব দূর করে।
- লিউকোরিয়াসহ মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, শিশুদের অপুষ্টি দূরীভূত করে।
- মাছসহ বিভিন্ন খাবারের ফুড পয়জনিং প্রতিরোধী অ্যান্টিডোট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
- শিমের ফুল রক্ত আমাশয়ের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।
সতর্কতা
শিমে সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর সায়ানোজেনিক গ্লুকোসাইড আছে। কাজেই শিম পরিমাণে খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। শুকনো শিমে এই উপাদানের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি। তাই শিমের শুকনো বিচি রান্না করার সময় অবশ্যই একবার পানি পরিবর্তন করা উচিত। শিম খেলে অনেক সময় বমি বমি ভাব হতে পারে।

আমলকির উপকারিতা.........

Posted by sofiq | 12:06 AM Categories:



১)শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে আমলকির জুড়ি নেই। ভিটামিন সি এর অভাবে যেসব রোগ হয়, যেমন - স্কার্ভি, মেয়েদের লিউকরিয়া, অর্শ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমলকি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

২)হার্টের রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকি তৃষ্ণা মেতে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে।

৩)আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে।এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।

৪)পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে উপকার হয়।

৫)বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘন্টা দুই বাদে সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়। নিয়মিত কয়েক টুকরো করে আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে। আমলকি খিদে বাড়ায়, শরীর ঠান্ডা রাখে।

৬)বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। আমলকি থেকে তৈরী তেল মাথা ঠান্ডা রাখে। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।

Sunday, February 3, 2013


সুস্হ্য থাকার জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফল থাকা বাঞ্ছনীয়।ফল আমাদের দেহে vitamin & Minerals এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আঁশ ও পানির চাহিদাও পূরণ করে।ফলের ভিতর কিছু ফল আছে উচ্চ ক্যালরীর।যারা ওজন বাড়াতে চান তারা এই ফলগুলো রাখুন খাবার তালিকায়, আর যারা ওজন কমাতে চান তারা এ ধরনের ফল কিছুটা কম পরিমানে খাবেন।



উচ্চ ক্যালরীযুক্ত ফল....
আম (পাকা)-৯০ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
পাকা কাঁঠাল -৪৮ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
আঙ্গুর -৯০ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
কিশমিশ -৩০৮ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
খেজুর (তাজা) -১৪৪ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
খেজুর (শুকনা)-৩১৭ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
গাব -১১৩ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
নারিকেল -৩৭৬ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
বেল-৮৭ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
সেফদা-৯৮ ক্যালরী/১০০ গ্রাম
পাকা কলা-১০৯ ক্যালরী/১০০ গ্রাম

গাব (Riverebony)

Posted by sofiq | 11:52 PM Categories:

গাব (Riverebony)

পুষ্টিগুণ: এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে।
ঔষধিগুণ: দেশী গাবের ফলের খোসার গুঁড়া আমাশয় নিরাময় এবং একজিমা ও চর্মপীড়ার মলম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। খোসা গরম পানিতে সেদ্ধ করে পান করে পান করলে পাতলা পায়খানা ও ডায়রিয়া নিরাময় হয়। পাতা ও বাকল
 গরম পানিতে সেদ্ধ করে পান করলে কৃমি, পাতলা পায়খানা, আমাশয় ও মূত্র সংক্রান্ত রোগ উপশম হয়। বিলাতি গাবের ফল রক্ত-আমাশয় ও উদারাময় রোগে ব্যবহৃত হয়। ফল মুখের ও গলার ঘা ধৌতকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার: পাকা গাব খাওয়া হয়। গাবের কষ (latex) দিয়ে মাছ ধরার জাল ও নৌকায় প্রলেপ দেওয়া হয়।

Wednesday, January 16, 2013


বর্তমানে প্রচুর পরিমানে থ্যালাসেমিয়া, আরএইচ হিমোলাইটিক, হাইড্রপস ফিটালিস ইত্যাদি রোগ ধরা পড়ছে। যার প্রভাব শিশুদের উপর সবচেয়ে বেশি। আর এ রোগ গুলি আসে পিতা মাতার রক্তের গ্রুপ ভিত্তিক গরমিল থেকে। স্বামী এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের উপর নির্ভর করে শিশুর সুস্থতা। আর এই গ্রুপের গরমিল হলেই আপনার শিশু ঝুঁকিতে পড়তে পারে।  তাই বিয়ের আগেই আপনারা সবাই নিজে এবং যাকে বিয়ে করে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনারা উপযুক্ত কিনা ? আরও সুবিধার জন্য আমি নিচে একটা চার্ট দিয়ে দিলাম যা দেখলে আপনারাই বুঝে যাবেন যে আপনার কোন রক্তের গ্রুপ আর আপনি কোন রক্তের গ্রুপের সঙ্গীকে বিয়ে করবেন। আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক..........

ঝুঁকির সম্ভাবনা:

মায়ের পজেটিভ(+) ও নেগেটিভ (-) রক্তের গ্রুপের সঙ্গে বাবার পজেটিভ (+) ও নেগেটিভ (-) রক্তের গ্রুপের সম্পর্ক-ঝুঁকি।
মায়ের রক্তের গ্রুপ
বাবার রক্তের গ্রুপ
ঝুঁকি
এ+, বি+, ও+ বা এবি+
এ+, বি+, ও+ বা এবি+,এ-, বি-, ও- বা এবি-
ঝুঁকি নেই।
এ-, বি-, ও- বা এবি-
এ-, বি-, ও- বা এবি-
ঝুঁকি নেই।
এ-
এ+
১৬%
বি+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
ও+
১৬%
এবি+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
বি-
এ+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
বি+
১৬%
ও+
১৬%
এবি+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
ও-
এ+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
বি+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
ও+
১৬%
এবি+
২%
এবি-
এ+, বি+, ও+ বা এবি+
১৬%

সাবধানতা :

১. বিয়ের আগে সবার (বর/কনে) রক্তের গ্রুপ টেস্ট করে নেওয়া দরকার যাতে পরবর্তীতের বড় ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২. আপনি যদি থ্যালাসেমিয়া বাহক হন তাহলে এ বাহক যেন আপনার বউ এর না হয় সেই ভাবে বিয়ের প্রস্তুতি গ্রহন করুন।
৩. পরিকল্পিত পরিবার গড়ার জন্য সবসময় সচেতন থাকুন এবং বিশিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।
৪. রক্ত গ্রহনের সময় বহনকারী রক্ত ভাল করে পরীক্ষা করে নিন।
৫. একি সিরিঞ্জ বার বার ব্যবহার করবেন না। অন্যের সিরিঞ্জ নিজে ব্যবহার করবেন না।
৬. আপনার জন্য যেন আপনার সন্তান পরবর্তীতে বিপদে না পড়ে সেই জন্য আগের প্রস্তুতি গ্রহন করুন।
আজ এ পর্যন্তই। আবার আপনাদের সাথে দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। কোন ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন। কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন। আল্লাহ্‌ হাফেজ!!!

Saturday, January 12, 2013

আপেলর পুষ্টিগুণ

Posted by sofiq | 11:18 PM Categories:

সেই ১৯ শতক থেকে ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে—“An apple a day, keeps the doctor away”. বুঝতেই পারছেন প্রতিদিন আপেল খাওয়ার গুরুত্ব কতখানি? অন্যান্য ফল কেন নয়? কেন কলা, কমলা, পেয়ারা বা আম নয়? কারণ আপেলে একসাথে সব পুষ্টি উপাদান আছে, যা বিভিন্ন ফলে থাকলেও একসাথে একটি ফলে নেই| তাই এই প্রবাদের প্রচলন ও আপেল খাওয়ার গুরুত্ব অনেক|


আপেল একটি অত্যন্ত পরিচিত ফল, যা সব যায়গায় পাওয়া যায়| দিনে এক থেকে দুইটি আপেল খেলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়| গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে– দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর LDL Cholesterol কমে|

সেই সাথে আরো পাওয়া গেছে যে, আপেল রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, diabetes হওয়া থেকে রক্ষা করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীর কে রক্ষা করে, blood pressure, হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস কে রক্ষা করে| আপেল শরীরের ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এতে অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রচুর antioxidant আছে| আপেল muscle tonic, diuretic, laxative, antidiarrheal, antirheumatic, ও stomachic.

কেন আপেলের এত গুনাগুন?

* আপেল প্রথমত: খেতে খুবই সুস্বাদু, সহজে ক্ষুধা নিবারণ করতে এই ফলের জুড়ি নেই| অন্য ফাস্ট/junk ফুড বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার চেয়ে, মিষ্টি, কচকচে আপেল খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করা অনেক ভালো | কারণ এতে মাত্র ৭০-১০০ ক্যালরি আছে| অফিসে, কাজের ফাকে বা পড়াশুনার ফাকে স্ন্যাকস হিসাবে একটি আপেল খেয়ে নিতে পারেন|
* এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো| তাই bowel পরিষ্কার রেখে, কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না|
* এতে carbohydrate, sugar, folic acid, potassium, calcium, B vitamins, iron, magnesium, ও zinc আছে |
* আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার আছে, যা সহজে তরলে মিশে যায়| এই ফাইবার অন্ত্র নালিতে cholesterol জমতে দেয় না, এবং শরীর থেকে cholesterol খরচ করে কমাতে সাহায্য করে| এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এটি ব্লাড প্রেসার ও রক্তের glucose/ sugar নিয়ন্ত্রণ করে | coronary artery disease ও diabetes এর রোগীরা তাই এটি খেলে উপকার পান |এটি হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরীতে সাহায্য করে | তাই এটি হজম শক্তি বৃধ্ধ্বি করে ও ঠিক রাখে
* আপেলের খোসায় polyphenols নামক antioxidant আছে, যা কোষকে ধ্বংশ হয়ে দেয় না|
* আপেলে phenols আছে, যা LDL Cholesterol কমায় ও ভালো cholesterol HDL বাড়ায়|
* আপেলে পর্যাপ্ত boron আছে, যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ও ব্রেইনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
* আপেলে আছে flavonoid, যা antioxidant, এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ ও ক্যান্সার হতে রক্ষা করে
* আপেলে Quercetin আছে, যা একটি flavonoid, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে শরীরকে রক্ষা করে| এই পুষ্টি উপাদানটি free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করে| তাছাড়া এটি DNA ধ্বংশ হতেও রক্ষা করে| Free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করার জন্য, বার্ধক্য জনিত রোগ, যেমন: Alzheimer’s হতেও এটি রক্ষা করে |
* আপেলে প্রচুর Phytonutrients, যেমন: ভিটামিন A, E ও beta carotene আছে| এগুলো ও free radical ধ্বংশ হতে, ব্রেইনের অসুখ হতে বাধা দেয়, ফুসফুস ভালো রাখে ও শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া ভালো রাখে | ফলে শরীর অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায় , যেমন: হার্টের অসুখ , Diabetes ও Asthma , Parkinsonism , Alzheimer’s.
* অন্যান্য ফলের মত আপেলের চিনি রক্তের চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না| ফলে diabetes এর রোগীরা নিশ্চিন্তে পরিমানমত আপেল খেতে পারেন |
* আপেলে কোনো লবন নেই, তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবন খাবার কোনো সম্ভাবনা নেই|
* আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে| তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে | তাছাড়া ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে|
* আপেল লিভার ও gall bladder পরিষ্কার রাখে, এর পাথর (gallstones) দূর করে বা ধ্বংশ করে
* আপেলের প্রচুর পানি আছে, তাই এটি পানিশুন্যতা দূর করে, তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে|
* জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে, তাই জ্বর এর রোগীরা আপেল খেলে ভালো বোধ করেন|
* আপেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তা কফ দুর করে|
* ডায়রিয়া হলে তা সারাতে সাহায্য করে|
* মাসেল টোন করতে সাহায্য করে ও ওজন কমায়
* Gastric এর সমস্যা কমায়
* আপেলের রস দাঁতের জন্য ও ভালো| কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়, আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করতে পারে| তাই বলা যায় যে –“an apple a day also keeps the dentist away”!

সবুজ, সোনালী, লাল, যেকোনো রকম আপেল থেকেই এই উপকারিতাগুলো পাওয়া যায়|

এত ফল থাকতে কি শুধু আপেলেই খাবেন? না, অন্যান্য ফল: যেমন: কমলা, যে কোনো মৌসুমী ফল, ইত্যাদি তেও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়| তবে আপেল সহজ লভ্য ও সারা বছর পাওয়া যায় | তাছাড়া এত পুষ্টি উপাদান এক সাথে শুধু মাত্র আপেলেই আছে| অন্যান্য ভিটামিন, যেমন ভিটামিন সি যুক্ত ফল (যেমন: কমলা, লেবু, পেয়ারা, আমলকি, আনারস ইত্যাদি) ও রাখুন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়|

আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ

Posted by sofiq | 10:37 PM Categories:

আঙ্গুরের প্রায় ৭৯ শতাংশই পানি। এ ছাড়া, এতে ফ্রুকটোজ এবং খনিজ উপাদানসহ দেহের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান আছে।

‘রেজভারেট্রল’ নামের রাসায়নিক উপাদান হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলোকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। কম ক্যালোরিযুক্ত এ লোহিত উপাদান আয়...
ু বাড়ায় এবং বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া, ভিটামিন এ, বি, সি ছাড়াও আঙ্গুরে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লৌহ, আয়োডিন এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান। আঙ্গুরের ফ্রুকটোজ সহজে রক্তে প্রবেশ করতে পারে এবং একে গুরুত্বপূর্ণ শর্করা হিসেবে গণ্য করা হয়।
পুষ্টি ও স্বাস্থ্য নিয়ে মহানবী সা. এবং পবিত্র আহলে বাইতের সদস্যরা অনেক প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তবে ,তারা জনগণকে কয়েকটি বিশেষ খাবার খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করেছেন। হযরত আলী আ. আঙ্গুরকে শুধু উপকারী ফলই বলেননি একে পুর্ণাঙ্গ খাদ্য হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
আঙ্গুর হতাশা প্রতিহত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে দুঃখ-বেদনা, মানসিক পীড়ন ও বিষন্নতা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে আঙ্গুর বিশেষ ফলদায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, মহাপ্লাবনের পর হযরত নূহ আ. ভূমিতে নামলেন তখন চারপাশে মৃত মানুষ ও প্রাণীর অসংখ্য কংকাল দেখতে পান। চারপাশে মহাপ্রলয়ের এই ভয়াবহ ধ্বংসলীলা দেখে হযরত নূহ আ.এর কোমল হৃদয় প্রচণ্ডভাবে ব্যথিত হয়ে ওঠে। বেদনায় মুষড়ে পড়েন তিনি। এ সময় হতাশাবোধ কাটিয়ে ওঠার জন্য তাকে কালো আঙ্গুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে অবতীর্ণ হয় ঐশী বাণী।
আধুনিককালের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কালো আঙ্গুরে হতাশা বা বিষন্নতা প্রতিরোধক উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন। এ ধরনের আঙ্গুরে পটাশিয়াম আছে আর তাই হতাশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এ আঙ্গুর। বুক ধড়ফড় করার মতো উপসর্গও দূর করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। এই উপাদান বিষন্নতা দূর করে ও সুখ এবং আনন্দের একটি অনুভূতি সৃষ্টি করে। আঙ্গুর এভাবে হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত স্পন্দন দূর করে মানসিক বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
ইরানের বিশ্বখ্যাত ইসলামী দার্শনিক ও বিজ্ঞানী আবু আলী সিনা আঙ্গুরকে অন্ত্রের বেদনা উপশমকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দেহে টক্সিন বা অধিবিষ নামে যে সব বিষাক্ত উপাদান জন্মে তা দূর হয় আঙ্গুর খাওয়ার মাধ্যমে। এ ছাড়া, আঙ্গুর রক্ত পরিশোধনের কাজও করে। আর এ কারণে শ্রান্তি দূর হয় ও দেহ চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
আঙ্গুর উচ্চরক্ত চাপ, ডায়রিয়া ও ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে।
ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য মুখে ভেষজ বা ভেষজ নয় এমন ‘মাস্ক’ ব্যবহার করা হয়। অল্প সময়ের জন্য এ জাতীয় ‘মাস্ক’ মুখে রাখতে হয় এবং তারপর তা ধুয়ে ফেলা হয়। আঙ্গুরের নির্যাস থেকে সহজেই প্রাকৃতিক ‘মাস্ক’ তৈরি করা যেতে পারে। এ ধরণের ‘মাস্ক’ ব্যবহারে মুখের বলি রেখা দূর হতে পারে। এ ছাড়া, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে এ ধরণের ‘মাস্ক’। আঙ্গুর থেকে নানা ধরণের উপাদান তৈরি হয়। এ সব উপাদানের মধ্যে আঙ্গুরের নির্যাস, আঙ্গুর বীজের তেল, সিরকা, আঙ্গুরের টক রস, কিশমিশ প্রভৃতি।
আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ এবং কিশমিশে ৬০ শতাংশ ফ্রুকটোজ রয়েছে। খুবানি বা কুল জাতীয় ফলে যতটা এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে কিশমিশেও প্রায় সে পরিমাণ বিজারক উপাদান থাকে। আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, কিসমিসকে যতই শুকানো হবে ততই তার পুষ্টিমান বাড়বে। তাই কিশমিশ আঙ্গুরের চেয়ে বেশি শক্তির যোগান দিতে পারে। শ্বাসতন্ত্রের অসুখ-বিসুখসহ যকৃত, মুত্রথলি, বৃক্ক বা কিডনির নানা রোগ সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করে কিশমিশ। বিশেষ ধরণের কিশমিশের চমৎকার সব গুণের কথা বলা হয়েছে পবিত্র হাদিসে। বীচি ছাড়া কালো ও লাল আঙ্গুর থেকে যে সব কিশমিশ তৈরি হয় সে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ সা.।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, তোমরা কিশমিশ বা আঙ্গুর খেতে অবহেলা করো না কারণ আঙ্গুর ও কিশমিশ দেহমন ভাল রাখে । এ ধরনের আঙ্গুর স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং দুর্বল দেহকে চাঙ্গা করে তুলতে সহায়তা যোগায়।
হাদিসে বলা হয়েছে, সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে বীচি ছাড়া আঙ্গুর হতে তৈরি ২১টি কিশমিশ খেলে শারীরিক দুর্বলতা এবং আল জাইমার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
সাম্প্রতিক জরিপেও এর সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। বৃটেন থেকে প্রকাশিত ‘কেমেস্ট্রি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ নামের সাময়িকীতে বলা হয়েছে, কিশমিশে এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান আছে যা আলজাইমার রোগ প্রতিহত করতে সহায়তা করে।
গবেষণাগারের পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিশমিশের অ্যান্টো-সিয়ানিন এবং পলি-ফেনোলিক উপাদানসহ আরো কিছু উপাদান আছে যা আলজাইমার সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এ ছাড়া, এ জাতীয় কিশমিশে ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স, ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
ইরানের চিকিৎসা বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, বীচিবিহীন আঙ্গুর থেকে তৈরি কিশমিশে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে । শুধু তাই না কোনো কোনো ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এ ধরনের কিশমিশ। এ জাতীয় কিশমিশ রক্তনালীগুলোকে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং রক্তনালীগুলোর কোমলতা বজায় রাখে।
আঙ্গুর থেকে যে সব জিনিস বানানো হয় তার অন্যতম হলো সিরকা। খেজুর বা আপেল হতেও সিরকা তৈরি হয়। সালাদ, আচার প্রভৃতি তৈরিতে সিরকা অপরিহার্য।
খাবারের সাথে সিরকা খেলে তাতে রক্ত প্রবাহ সহজতর হয়। এ ছাড়া, রক্তের চর্বি ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টরেল কমায় । সিরকা মানুষের প্রজ্ঞা ও মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে। সিরকায় সাইট্রিক এসিড আছে। খাদ্যের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম আছে তা দেহকে গ্রহণ ও হজমে সাহায্য করে এবং একই সঙ্গে বিপাকক্রিয়াও বাড়াতে সাহায্য করে এই সাইট্রিক এসিড। পরিপাকতন্ত্রে অনেক ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে সাহায্য করে সিরকা। অন্ত্রের নানাবিধ রোগ যেমন, ডায়রিয়া, পেটব্যাথা এবং কোষ্টকাঠিন্যে যারা কষ্ট পান তারা সিরকা ব্যবহার করে এ সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সিরকা মাড়ির প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্রে এসিড নির্গমনের ভারসাম্য বজায় রাখে। দুর্বল চিত্তের মানুষরা সিরকা খেলে উপকার পাবেন বলে চিকিৎসাবিদরা মনে করেন।

আনারস (Pineapple) পুষ্টিগুণ

Posted by sofiq | 10:31 PM Categories:

আনারস (Pineapple)

পুষ্টিগুণ: ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম আছে।
ঔষধিগুণ: পাকা ফল বল বৃদ্ধি করে, কফ, পিত্তবর্ধক, পাচক ও ঘর্মকারক। কাঁচা ফল গর্ভপাতকারী। পাকা ফলের সদ্য রসে ব্রোমিলিন নামক এক জাতীয় জারক রস থাকে বলে এটি পরিপাক ক্রিয়ার সহায়ক হয় এবং রস জন্ডিস রোগে হিতকর। কচি ফলের শাঁস ও পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে ক্রিমির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ব্যবহার: জ্যাম-জেলি তৈরি করা যায়।

কামরাঙ্গা (Carambola)

পুষ্টিগুণ: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর ফল।

ঔষধিগুণ: পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ফল এবং পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। পাতা ও ডগার গুঁড়া সেবনে জলবসন্ত ও বক্রকিৃমি নিরাময় হয়। কাশি ও অ্যাজমা নিরাময়ে পোড়া কামরাঙ্গা উপকারী।
ব্যবহার: জেলি, জ্যাম, মোরব্বা, চাটনি ও আচার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

নারিকেল (Coconut) পুষ্টিগুণ:

Posted by sofiq | 10:23 PM Categories:

নারিকেল (Coconut


পুষ্টিগুণ: নারিকেলের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, চর্বি, শর্করা ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
ঔষধিগুণ: বিভিন্ন রকম পেটের গোলযোগে গ্লুকোজ স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি খুবই উপযোগী। ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও বমির ফলে দেহে যে পানির অভাব ঘটে তা পূরণে ডাবের পানি অত্যন্ত কার্যকরী। এটি পিত্তনাশক ও কৃমিনাশক। ফলের মালা/আইচা পুড়িয়ে পাথরবাটি চাপা দিয়ে পাথরের গায়ে যে গাম/কাথ্ব হয় তা দাদের জন্য মহৌষধ।
ব্যবহার: খাদ্য পানীয় থেকে শুরু করে গৃহনির্মান সরঞ্জামও নারিকেল গাছ থেকে পাওয়া যায়।

মরিচ । Chili Pepper

Posted by sofiq | 10:19 PM Categories:

মরিচ । Chili Pepper

একটা কাঁচা মরিচে একটা কমলার থেকেও বেশি ’ভিটামিন সি’ থাকে।এছাড়া ভিটামিন এ, বি-১, বি-২, নিয়াসীন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, শর্করা ও আমিষ থাকে। মরিচে বিদ্যমান ক্যাপসেইসিন শরীরে রক্তচাপ এবং রক্ত জমাট বাঁধা হ্রাস করতে পারে। নাসিকা বন্ধ হলে ঝাল স্যুপ বা তরকারি বেশ কার্যকরি।

বাদামের গুণাগুন

Posted by sofiq | 10:17 PM Categories:



বাদাম খেলেই মোটা হয়ে যাবেন_ এই ভয়ে বাদামের ধারেকাছে ঘেঁষেন না অনেকেই। অথচ প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও তেলের জরুরি উৎস বাদাম। তবে মুখরোচক বলে অল্প খাওয়াও মুশকিল। তাই পরিমিত পরিমাণে বাদাম খান এবং সুস্থ থাকুন। নিচে বিভিন্ন বাদামের পুষ্টিগুণ দেওয়া হলো...

চিনাবাদাম
...
প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, বি, সি।

উপকারিতা
* প্রোটিনের সম্পূর্ণ উৎস। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।
* নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আখরোট
ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ভিটামিন।

উপকারিতা
* হাড় শক্ত করে।
* ব্রেনে পুষ্টি জোগায়।

পেস্তা বাদাম
ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন।

উপকারিতা
* রক্ত শুদ্ধ করে।
* লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।

কাজু বাদাম
আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম
ভিটামিন-এ।

উপকারিতা
* অ্যানিমিয়া ভালো করে।
* ত্বক উজ্জ্বল করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আমন্ড
বাদামের রাজা আমন্ড। ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই।

উপকারিতা
* শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব ভালো। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে।
* নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।
* কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
* অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। কেমোথেরাপি চলাকালে আমন্ড মিল্ক খেলে ইমিউনিটি সিস্টেমের উন্নতি ঘটে।
* আমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। ফলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
* আমন্ড বাটা নিয়মিত লাগালে বলিরেখার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মিষ্টি কুমড়া

Posted by sofiq | 10:15 PM Categories:

মিষ্টি কুমড়া

শাকসবজির উপকারিতার কথা সবাই জানেন। তারপরও বাড়িতে ছেলেমেয়েরা শাকসবজি খেতে চায় না। বিশেষ করে কুমড়ার প্রতি বয়স্কদেরও কমবেশি অনীহা দেখা যায়। কিন্তু কুমড়া যে দীর্ঘ জীবনের জন্য সহায়ক সে কথাটি জানলে এই অনীহা থাকত না।
অতি সমপ্রতি মার্কিন গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন, কুমড়া নিয়মিত খেলে দীর্ঘজীবী হওয়া যাবে। এই রহস্যের পিছনে রয়েছে আলফা ক্যারোটিন নামের একটি উপাদান। সাধারণত হলুদ কমলা রঙের ফলমূল ও...
সবজিতে এই উপাদান প্রচুর থাকে। মিষ্টি কুমড়া একটি পুষ্টিকর সবজি। অনেকের কাছে এটি বিলাতি কুমড়া নামেও পরিচিত। এতে প্রচুর ক্যারোটিন (ভিটামিন-এ) এবং অন্যান্য খাদ্য উপাদান রয়েছে। এটা বার মাস ফলানো যায় আবার অনেকদিন ঘরে রেখে খাওয়া যায়| এর শাকও পুষ্টিকর।
মিষ্টি কুমড়া বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। মিষ্টি কুমড়ার শিকড় যথেষ্ট বিস্তৃত। কচি মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে এবং পাকা ফল দীর্ঘদিন রেখে সবজি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পরিপক্ক ফল শুষ্ক ঘরে সাধারণ তাপমাত্রায় প্রায় ৪-৬ মাস সংরক্ষণ করা যায়। মিষ্টি কুমড়া ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর ভিটামিন-এ আছে।
নিরপেক্ষ হাইব্রিড জাত। সারা বছর চাষযোগ্য। ফল চ্যাপ্টা এবং ভিতরের মাংসল অংশ বেশ পুরু ও গাঢ় হলুদ। প্রতিটি ফলের গড় ওজন ৭-৮ কেজি। কাঁচা ও পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়।
এতদিন আমরা একটি পরিচিত উপাদান বিটা ক্যারোটিনের উপকারিতার কথা জেনে আসছি। ক্যান্সার প্রতিরোধ ও হূদরোগ নিরাময়ে বিটা ক্যারোটিনের কথা বলা হয়। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে, বিটা ক্যারোটিনযুক্ত ওষুধ ক্যান্সার প্রতিরোধ নয়, বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বরং আলফা ক্যারোটিনই এখন উপকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গবেষকদের মতে, ফলমূল বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অবহেলিত সবজি কুমড়া যে দীর্ঘ জীবনের সহায়ক উপাদান বহন করছে তা এতদিন জানা যায়নি।


লবঙ্গ হজম ক্রিয়ায় সরাসরি কাজ করে। তাছাড়া এতে ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। পাকস্থলীর রস-ক্রিয়ার শক্তিশালী হয়। রুচি নষ্ট হলে, তা ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। মনকেও প্রসন্ন রাখে। লবঙ্গ কৃমিনাশকের কাজও করে। তবে অম্লপিত্ত বা এসিডিটিতে লবঙ্গ একটি ভাল উপাদান। খাওয়ার পর দুপুরে ও রাতে একটি করে লবঙ্গ চুষে খেলে অম্লপিত্ত বা এসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পেয়ারার উপকারিতা

Posted by sofiq | 10:10 PM Categories:
















পেয়ারার উপকারিতা
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। অন্যান্য সাইট্রাস ফল, যেমন—কমলালেবুর তুলনায় পেয়ারায় ৫ গুণ বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে।
পেয়ারায় রয়েছে ১৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি।
পেয়ারায় ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স রয়েছে। রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন।
সেইসঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড।

তাজা পেয়ারা
রুম টেম্পারেচারে পেয়ারা রাখুন।
পাকা পেয়ারা পেপার বা প্লাস্টিক ব্যাগে রেফ্রিজারেটরে স্টোর করলে দু’দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
পেয়ারার জুস এয়ার টাইট ও ভেপার প্রুফ পাত্রে রাখুন।
পেয়ারার রং হালকা হলুদ হলে ও কড়া গন্ধ থাকলে বুঝবেন, ওটা পাকা পেয়ারা।
পেয়ারা কেনার সময় খেয়াল রাখবেন, পেয়ারার রং যেন সুন্দর থাকে। খুব বড় বা খুব ছোট আকারের পেয়ারার পরিবর্তে মাঝারি আকারের পেয়ারা কিনুন।
পেয়ারার গায়ে যেন কোনো কালো দাগ না থাকে। ওগুলো পেয়ারার পচন শুরুর দাগ। পাকা পেয়ারায় সুন্দর গন্ধ বেরোয়। হাত দিয়ে টিপলে পাকা পেয়ারা সামান্য গর্ত হবে।

পেয়ারার পুষ্টিগুণ
ভিটামিন, মিনারেল (১০০ গ্রাম), ক্যালরি ৭, ভিটামিন-এ ২৫০ আই ইউ, থিয়ামিন ০.০৭ গ্রাম, নিয়াসিন ১.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৩০২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৯ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭.১ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম।

রোগ উপশমে পেয়ারা
হাই ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অনেক দিন ধরে মেনস্ট্রুয়েসন-এর সমস্যায় পেয়ারা উপকারী।
রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। হার্টের সমস্যায় ভুগলে পেয়ারা খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন-সি সক্রিয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় পেয়ারা।
অ্যাজমা, স্কার্ভি, ওবিসিটি ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা উপকারী। ডায়াবেটিসতো বটেই, ক্যান্সার এমন কি প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারসমৃদ্ধ পেয়ারা ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রোনটেস্টিনাল সমস্যায় উপকারী। কারণ, পেয়ারা পাতায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার জুস সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে। আয়রন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ পেয়ারা কনস্টিপেশন সারাতে উপকারী। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেয়ারা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রুখতে সাহায্য করে। একই কারণে অনেক বডি লোশন বা ফেস ক্রিমের উপাদানে পেয়ারা থাকে। বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ, যেমন—অ্যালজাইমার, ছানি, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ পেয়ারা ডিসেন্ট্রি প্রতিরোধ করে।

কুইক সার্ভিং টিপস
লো-ফ্যাট আইসক্রিম বা ইয়োগার্ট-এর সঙ্গে টপিং হিসেবে পেয়ারার স্লাইস দিতে পারেন।
পেয়ারার জুস দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ফ্রুট পাঞ্চ।
পেয়ারার জেলি পুডিং-এর টপিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন
প্রথমে মাঝখান থেকে পেয়ারা দু’ভাগে কেটে নিন। বিচি ছাড়িয়ে নিন। এরপর পেয়ারার শেলে কটেজ চিজ দিয়ে, লেটুস পাতার সঙ্গে সার্ভ করুন।
  • RSS
  • Delicious
  • Digg
  • Facebook
  • Twitter
  • Linkedin
  • Youtube