Wednesday, January 16, 2013


বর্তমানে প্রচুর পরিমানে থ্যালাসেমিয়া, আরএইচ হিমোলাইটিক, হাইড্রপস ফিটালিস ইত্যাদি রোগ ধরা পড়ছে। যার প্রভাব শিশুদের উপর সবচেয়ে বেশি। আর এ রোগ গুলি আসে পিতা মাতার রক্তের গ্রুপ ভিত্তিক গরমিল থেকে। স্বামী এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের উপর নির্ভর করে শিশুর সুস্থতা। আর এই গ্রুপের গরমিল হলেই আপনার শিশু ঝুঁকিতে পড়তে পারে।  তাই বিয়ের আগেই আপনারা সবাই নিজে এবং যাকে বিয়ে করে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনারা উপযুক্ত কিনা ? আরও সুবিধার জন্য আমি নিচে একটা চার্ট দিয়ে দিলাম যা দেখলে আপনারাই বুঝে যাবেন যে আপনার কোন রক্তের গ্রুপ আর আপনি কোন রক্তের গ্রুপের সঙ্গীকে বিয়ে করবেন। আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক..........

ঝুঁকির সম্ভাবনা:

মায়ের পজেটিভ(+) ও নেগেটিভ (-) রক্তের গ্রুপের সঙ্গে বাবার পজেটিভ (+) ও নেগেটিভ (-) রক্তের গ্রুপের সম্পর্ক-ঝুঁকি।
মায়ের রক্তের গ্রুপ
বাবার রক্তের গ্রুপ
ঝুঁকি
এ+, বি+, ও+ বা এবি+
এ+, বি+, ও+ বা এবি+,এ-, বি-, ও- বা এবি-
ঝুঁকি নেই।
এ-, বি-, ও- বা এবি-
এ-, বি-, ও- বা এবি-
ঝুঁকি নেই।
এ-
এ+
১৬%
বি+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
ও+
১৬%
এবি+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
বি-
এ+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
বি+
১৬%
ও+
১৬%
এবি+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
ও-
এ+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
বি+
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
ও+
১৬%
এবি+
২%
এবি-
এ+, বি+, ও+ বা এবি+
১৬%

সাবধানতা :

১. বিয়ের আগে সবার (বর/কনে) রক্তের গ্রুপ টেস্ট করে নেওয়া দরকার যাতে পরবর্তীতের বড় ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২. আপনি যদি থ্যালাসেমিয়া বাহক হন তাহলে এ বাহক যেন আপনার বউ এর না হয় সেই ভাবে বিয়ের প্রস্তুতি গ্রহন করুন।
৩. পরিকল্পিত পরিবার গড়ার জন্য সবসময় সচেতন থাকুন এবং বিশিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।
৪. রক্ত গ্রহনের সময় বহনকারী রক্ত ভাল করে পরীক্ষা করে নিন।
৫. একি সিরিঞ্জ বার বার ব্যবহার করবেন না। অন্যের সিরিঞ্জ নিজে ব্যবহার করবেন না।
৬. আপনার জন্য যেন আপনার সন্তান পরবর্তীতে বিপদে না পড়ে সেই জন্য আগের প্রস্তুতি গ্রহন করুন।
আজ এ পর্যন্তই। আবার আপনাদের সাথে দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। কোন ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন। কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন। আল্লাহ্‌ হাফেজ!!!

Saturday, January 12, 2013

আপেলর পুষ্টিগুণ

Posted by sofiq | 11:18 PM Categories:

সেই ১৯ শতক থেকে ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে—“An apple a day, keeps the doctor away”. বুঝতেই পারছেন প্রতিদিন আপেল খাওয়ার গুরুত্ব কতখানি? অন্যান্য ফল কেন নয়? কেন কলা, কমলা, পেয়ারা বা আম নয়? কারণ আপেলে একসাথে সব পুষ্টি উপাদান আছে, যা বিভিন্ন ফলে থাকলেও একসাথে একটি ফলে নেই| তাই এই প্রবাদের প্রচলন ও আপেল খাওয়ার গুরুত্ব অনেক|


আপেল একটি অত্যন্ত পরিচিত ফল, যা সব যায়গায় পাওয়া যায়| দিনে এক থেকে দুইটি আপেল খেলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়| গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে– দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর LDL Cholesterol কমে|

সেই সাথে আরো পাওয়া গেছে যে, আপেল রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, diabetes হওয়া থেকে রক্ষা করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীর কে রক্ষা করে, blood pressure, হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস কে রক্ষা করে| আপেল শরীরের ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এতে অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রচুর antioxidant আছে| আপেল muscle tonic, diuretic, laxative, antidiarrheal, antirheumatic, ও stomachic.

কেন আপেলের এত গুনাগুন?

* আপেল প্রথমত: খেতে খুবই সুস্বাদু, সহজে ক্ষুধা নিবারণ করতে এই ফলের জুড়ি নেই| অন্য ফাস্ট/junk ফুড বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার চেয়ে, মিষ্টি, কচকচে আপেল খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করা অনেক ভালো | কারণ এতে মাত্র ৭০-১০০ ক্যালরি আছে| অফিসে, কাজের ফাকে বা পড়াশুনার ফাকে স্ন্যাকস হিসাবে একটি আপেল খেয়ে নিতে পারেন|
* এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো| তাই bowel পরিষ্কার রেখে, কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না|
* এতে carbohydrate, sugar, folic acid, potassium, calcium, B vitamins, iron, magnesium, ও zinc আছে |
* আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার আছে, যা সহজে তরলে মিশে যায়| এই ফাইবার অন্ত্র নালিতে cholesterol জমতে দেয় না, এবং শরীর থেকে cholesterol খরচ করে কমাতে সাহায্য করে| এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এটি ব্লাড প্রেসার ও রক্তের glucose/ sugar নিয়ন্ত্রণ করে | coronary artery disease ও diabetes এর রোগীরা তাই এটি খেলে উপকার পান |এটি হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরীতে সাহায্য করে | তাই এটি হজম শক্তি বৃধ্ধ্বি করে ও ঠিক রাখে
* আপেলের খোসায় polyphenols নামক antioxidant আছে, যা কোষকে ধ্বংশ হয়ে দেয় না|
* আপেলে phenols আছে, যা LDL Cholesterol কমায় ও ভালো cholesterol HDL বাড়ায়|
* আপেলে পর্যাপ্ত boron আছে, যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ও ব্রেইনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
* আপেলে আছে flavonoid, যা antioxidant, এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ ও ক্যান্সার হতে রক্ষা করে
* আপেলে Quercetin আছে, যা একটি flavonoid, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে শরীরকে রক্ষা করে| এই পুষ্টি উপাদানটি free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করে| তাছাড়া এটি DNA ধ্বংশ হতেও রক্ষা করে| Free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করার জন্য, বার্ধক্য জনিত রোগ, যেমন: Alzheimer’s হতেও এটি রক্ষা করে |
* আপেলে প্রচুর Phytonutrients, যেমন: ভিটামিন A, E ও beta carotene আছে| এগুলো ও free radical ধ্বংশ হতে, ব্রেইনের অসুখ হতে বাধা দেয়, ফুসফুস ভালো রাখে ও শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া ভালো রাখে | ফলে শরীর অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায় , যেমন: হার্টের অসুখ , Diabetes ও Asthma , Parkinsonism , Alzheimer’s.
* অন্যান্য ফলের মত আপেলের চিনি রক্তের চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না| ফলে diabetes এর রোগীরা নিশ্চিন্তে পরিমানমত আপেল খেতে পারেন |
* আপেলে কোনো লবন নেই, তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবন খাবার কোনো সম্ভাবনা নেই|
* আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে| তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে | তাছাড়া ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে|
* আপেল লিভার ও gall bladder পরিষ্কার রাখে, এর পাথর (gallstones) দূর করে বা ধ্বংশ করে
* আপেলের প্রচুর পানি আছে, তাই এটি পানিশুন্যতা দূর করে, তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে|
* জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে, তাই জ্বর এর রোগীরা আপেল খেলে ভালো বোধ করেন|
* আপেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তা কফ দুর করে|
* ডায়রিয়া হলে তা সারাতে সাহায্য করে|
* মাসেল টোন করতে সাহায্য করে ও ওজন কমায়
* Gastric এর সমস্যা কমায়
* আপেলের রস দাঁতের জন্য ও ভালো| কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়, আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করতে পারে| তাই বলা যায় যে –“an apple a day also keeps the dentist away”!

সবুজ, সোনালী, লাল, যেকোনো রকম আপেল থেকেই এই উপকারিতাগুলো পাওয়া যায়|

এত ফল থাকতে কি শুধু আপেলেই খাবেন? না, অন্যান্য ফল: যেমন: কমলা, যে কোনো মৌসুমী ফল, ইত্যাদি তেও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়| তবে আপেল সহজ লভ্য ও সারা বছর পাওয়া যায় | তাছাড়া এত পুষ্টি উপাদান এক সাথে শুধু মাত্র আপেলেই আছে| অন্যান্য ভিটামিন, যেমন ভিটামিন সি যুক্ত ফল (যেমন: কমলা, লেবু, পেয়ারা, আমলকি, আনারস ইত্যাদি) ও রাখুন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়|

আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ

Posted by sofiq | 10:37 PM Categories:

আঙ্গুরের প্রায় ৭৯ শতাংশই পানি। এ ছাড়া, এতে ফ্রুকটোজ এবং খনিজ উপাদানসহ দেহের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান আছে।

‘রেজভারেট্রল’ নামের রাসায়নিক উপাদান হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলোকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। কম ক্যালোরিযুক্ত এ লোহিত উপাদান আয়...
ু বাড়ায় এবং বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া, ভিটামিন এ, বি, সি ছাড়াও আঙ্গুরে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লৌহ, আয়োডিন এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান। আঙ্গুরের ফ্রুকটোজ সহজে রক্তে প্রবেশ করতে পারে এবং একে গুরুত্বপূর্ণ শর্করা হিসেবে গণ্য করা হয়।
পুষ্টি ও স্বাস্থ্য নিয়ে মহানবী সা. এবং পবিত্র আহলে বাইতের সদস্যরা অনেক প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তবে ,তারা জনগণকে কয়েকটি বিশেষ খাবার খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করেছেন। হযরত আলী আ. আঙ্গুরকে শুধু উপকারী ফলই বলেননি একে পুর্ণাঙ্গ খাদ্য হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
আঙ্গুর হতাশা প্রতিহত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে দুঃখ-বেদনা, মানসিক পীড়ন ও বিষন্নতা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে আঙ্গুর বিশেষ ফলদায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, মহাপ্লাবনের পর হযরত নূহ আ. ভূমিতে নামলেন তখন চারপাশে মৃত মানুষ ও প্রাণীর অসংখ্য কংকাল দেখতে পান। চারপাশে মহাপ্রলয়ের এই ভয়াবহ ধ্বংসলীলা দেখে হযরত নূহ আ.এর কোমল হৃদয় প্রচণ্ডভাবে ব্যথিত হয়ে ওঠে। বেদনায় মুষড়ে পড়েন তিনি। এ সময় হতাশাবোধ কাটিয়ে ওঠার জন্য তাকে কালো আঙ্গুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে অবতীর্ণ হয় ঐশী বাণী।
আধুনিককালের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কালো আঙ্গুরে হতাশা বা বিষন্নতা প্রতিরোধক উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন। এ ধরনের আঙ্গুরে পটাশিয়াম আছে আর তাই হতাশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এ আঙ্গুর। বুক ধড়ফড় করার মতো উপসর্গও দূর করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। এই উপাদান বিষন্নতা দূর করে ও সুখ এবং আনন্দের একটি অনুভূতি সৃষ্টি করে। আঙ্গুর এভাবে হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত স্পন্দন দূর করে মানসিক বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
ইরানের বিশ্বখ্যাত ইসলামী দার্শনিক ও বিজ্ঞানী আবু আলী সিনা আঙ্গুরকে অন্ত্রের বেদনা উপশমকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দেহে টক্সিন বা অধিবিষ নামে যে সব বিষাক্ত উপাদান জন্মে তা দূর হয় আঙ্গুর খাওয়ার মাধ্যমে। এ ছাড়া, আঙ্গুর রক্ত পরিশোধনের কাজও করে। আর এ কারণে শ্রান্তি দূর হয় ও দেহ চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
আঙ্গুর উচ্চরক্ত চাপ, ডায়রিয়া ও ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে।
ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য মুখে ভেষজ বা ভেষজ নয় এমন ‘মাস্ক’ ব্যবহার করা হয়। অল্প সময়ের জন্য এ জাতীয় ‘মাস্ক’ মুখে রাখতে হয় এবং তারপর তা ধুয়ে ফেলা হয়। আঙ্গুরের নির্যাস থেকে সহজেই প্রাকৃতিক ‘মাস্ক’ তৈরি করা যেতে পারে। এ ধরণের ‘মাস্ক’ ব্যবহারে মুখের বলি রেখা দূর হতে পারে। এ ছাড়া, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে এ ধরণের ‘মাস্ক’। আঙ্গুর থেকে নানা ধরণের উপাদান তৈরি হয়। এ সব উপাদানের মধ্যে আঙ্গুরের নির্যাস, আঙ্গুর বীজের তেল, সিরকা, আঙ্গুরের টক রস, কিশমিশ প্রভৃতি।
আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ এবং কিশমিশে ৬০ শতাংশ ফ্রুকটোজ রয়েছে। খুবানি বা কুল জাতীয় ফলে যতটা এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে কিশমিশেও প্রায় সে পরিমাণ বিজারক উপাদান থাকে। আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, কিসমিসকে যতই শুকানো হবে ততই তার পুষ্টিমান বাড়বে। তাই কিশমিশ আঙ্গুরের চেয়ে বেশি শক্তির যোগান দিতে পারে। শ্বাসতন্ত্রের অসুখ-বিসুখসহ যকৃত, মুত্রথলি, বৃক্ক বা কিডনির নানা রোগ সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করে কিশমিশ। বিশেষ ধরণের কিশমিশের চমৎকার সব গুণের কথা বলা হয়েছে পবিত্র হাদিসে। বীচি ছাড়া কালো ও লাল আঙ্গুর থেকে যে সব কিশমিশ তৈরি হয় সে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ সা.।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, তোমরা কিশমিশ বা আঙ্গুর খেতে অবহেলা করো না কারণ আঙ্গুর ও কিশমিশ দেহমন ভাল রাখে । এ ধরনের আঙ্গুর স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং দুর্বল দেহকে চাঙ্গা করে তুলতে সহায়তা যোগায়।
হাদিসে বলা হয়েছে, সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে বীচি ছাড়া আঙ্গুর হতে তৈরি ২১টি কিশমিশ খেলে শারীরিক দুর্বলতা এবং আল জাইমার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
সাম্প্রতিক জরিপেও এর সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। বৃটেন থেকে প্রকাশিত ‘কেমেস্ট্রি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ নামের সাময়িকীতে বলা হয়েছে, কিশমিশে এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান আছে যা আলজাইমার রোগ প্রতিহত করতে সহায়তা করে।
গবেষণাগারের পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিশমিশের অ্যান্টো-সিয়ানিন এবং পলি-ফেনোলিক উপাদানসহ আরো কিছু উপাদান আছে যা আলজাইমার সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এ ছাড়া, এ জাতীয় কিশমিশে ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স, ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
ইরানের চিকিৎসা বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, বীচিবিহীন আঙ্গুর থেকে তৈরি কিশমিশে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে । শুধু তাই না কোনো কোনো ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এ ধরনের কিশমিশ। এ জাতীয় কিশমিশ রক্তনালীগুলোকে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং রক্তনালীগুলোর কোমলতা বজায় রাখে।
আঙ্গুর থেকে যে সব জিনিস বানানো হয় তার অন্যতম হলো সিরকা। খেজুর বা আপেল হতেও সিরকা তৈরি হয়। সালাদ, আচার প্রভৃতি তৈরিতে সিরকা অপরিহার্য।
খাবারের সাথে সিরকা খেলে তাতে রক্ত প্রবাহ সহজতর হয়। এ ছাড়া, রক্তের চর্বি ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টরেল কমায় । সিরকা মানুষের প্রজ্ঞা ও মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে। সিরকায় সাইট্রিক এসিড আছে। খাদ্যের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম আছে তা দেহকে গ্রহণ ও হজমে সাহায্য করে এবং একই সঙ্গে বিপাকক্রিয়াও বাড়াতে সাহায্য করে এই সাইট্রিক এসিড। পরিপাকতন্ত্রে অনেক ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে সাহায্য করে সিরকা। অন্ত্রের নানাবিধ রোগ যেমন, ডায়রিয়া, পেটব্যাথা এবং কোষ্টকাঠিন্যে যারা কষ্ট পান তারা সিরকা ব্যবহার করে এ সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সিরকা মাড়ির প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্রে এসিড নির্গমনের ভারসাম্য বজায় রাখে। দুর্বল চিত্তের মানুষরা সিরকা খেলে উপকার পাবেন বলে চিকিৎসাবিদরা মনে করেন।

আনারস (Pineapple) পুষ্টিগুণ

Posted by sofiq | 10:31 PM Categories:

আনারস (Pineapple)

পুষ্টিগুণ: ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম আছে।
ঔষধিগুণ: পাকা ফল বল বৃদ্ধি করে, কফ, পিত্তবর্ধক, পাচক ও ঘর্মকারক। কাঁচা ফল গর্ভপাতকারী। পাকা ফলের সদ্য রসে ব্রোমিলিন নামক এক জাতীয় জারক রস থাকে বলে এটি পরিপাক ক্রিয়ার সহায়ক হয় এবং রস জন্ডিস রোগে হিতকর। কচি ফলের শাঁস ও পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে ক্রিমির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ব্যবহার: জ্যাম-জেলি তৈরি করা যায়।

কামরাঙ্গা (Carambola)

পুষ্টিগুণ: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর ফল।

ঔষধিগুণ: পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ফল এবং পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। পাতা ও ডগার গুঁড়া সেবনে জলবসন্ত ও বক্রকিৃমি নিরাময় হয়। কাশি ও অ্যাজমা নিরাময়ে পোড়া কামরাঙ্গা উপকারী।
ব্যবহার: জেলি, জ্যাম, মোরব্বা, চাটনি ও আচার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

নারিকেল (Coconut) পুষ্টিগুণ:

Posted by sofiq | 10:23 PM Categories:

নারিকেল (Coconut


পুষ্টিগুণ: নারিকেলের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, চর্বি, শর্করা ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
ঔষধিগুণ: বিভিন্ন রকম পেটের গোলযোগে গ্লুকোজ স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি খুবই উপযোগী। ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও বমির ফলে দেহে যে পানির অভাব ঘটে তা পূরণে ডাবের পানি অত্যন্ত কার্যকরী। এটি পিত্তনাশক ও কৃমিনাশক। ফলের মালা/আইচা পুড়িয়ে পাথরবাটি চাপা দিয়ে পাথরের গায়ে যে গাম/কাথ্ব হয় তা দাদের জন্য মহৌষধ।
ব্যবহার: খাদ্য পানীয় থেকে শুরু করে গৃহনির্মান সরঞ্জামও নারিকেল গাছ থেকে পাওয়া যায়।

মরিচ । Chili Pepper

Posted by sofiq | 10:19 PM Categories:

মরিচ । Chili Pepper

একটা কাঁচা মরিচে একটা কমলার থেকেও বেশি ’ভিটামিন সি’ থাকে।এছাড়া ভিটামিন এ, বি-১, বি-২, নিয়াসীন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, শর্করা ও আমিষ থাকে। মরিচে বিদ্যমান ক্যাপসেইসিন শরীরে রক্তচাপ এবং রক্ত জমাট বাঁধা হ্রাস করতে পারে। নাসিকা বন্ধ হলে ঝাল স্যুপ বা তরকারি বেশ কার্যকরি।

বাদামের গুণাগুন

Posted by sofiq | 10:17 PM Categories:



বাদাম খেলেই মোটা হয়ে যাবেন_ এই ভয়ে বাদামের ধারেকাছে ঘেঁষেন না অনেকেই। অথচ প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও তেলের জরুরি উৎস বাদাম। তবে মুখরোচক বলে অল্প খাওয়াও মুশকিল। তাই পরিমিত পরিমাণে বাদাম খান এবং সুস্থ থাকুন। নিচে বিভিন্ন বাদামের পুষ্টিগুণ দেওয়া হলো...

চিনাবাদাম
...
প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, বি, সি।

উপকারিতা
* প্রোটিনের সম্পূর্ণ উৎস। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।
* নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আখরোট
ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ভিটামিন।

উপকারিতা
* হাড় শক্ত করে।
* ব্রেনে পুষ্টি জোগায়।

পেস্তা বাদাম
ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন।

উপকারিতা
* রক্ত শুদ্ধ করে।
* লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।

কাজু বাদাম
আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম
ভিটামিন-এ।

উপকারিতা
* অ্যানিমিয়া ভালো করে।
* ত্বক উজ্জ্বল করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আমন্ড
বাদামের রাজা আমন্ড। ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই।

উপকারিতা
* শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব ভালো। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে।
* নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।
* কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
* অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। কেমোথেরাপি চলাকালে আমন্ড মিল্ক খেলে ইমিউনিটি সিস্টেমের উন্নতি ঘটে।
* আমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। ফলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
* আমন্ড বাটা নিয়মিত লাগালে বলিরেখার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মিষ্টি কুমড়া

Posted by sofiq | 10:15 PM Categories:

মিষ্টি কুমড়া

শাকসবজির উপকারিতার কথা সবাই জানেন। তারপরও বাড়িতে ছেলেমেয়েরা শাকসবজি খেতে চায় না। বিশেষ করে কুমড়ার প্রতি বয়স্কদেরও কমবেশি অনীহা দেখা যায়। কিন্তু কুমড়া যে দীর্ঘ জীবনের জন্য সহায়ক সে কথাটি জানলে এই অনীহা থাকত না।
অতি সমপ্রতি মার্কিন গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন, কুমড়া নিয়মিত খেলে দীর্ঘজীবী হওয়া যাবে। এই রহস্যের পিছনে রয়েছে আলফা ক্যারোটিন নামের একটি উপাদান। সাধারণত হলুদ কমলা রঙের ফলমূল ও...
সবজিতে এই উপাদান প্রচুর থাকে। মিষ্টি কুমড়া একটি পুষ্টিকর সবজি। অনেকের কাছে এটি বিলাতি কুমড়া নামেও পরিচিত। এতে প্রচুর ক্যারোটিন (ভিটামিন-এ) এবং অন্যান্য খাদ্য উপাদান রয়েছে। এটা বার মাস ফলানো যায় আবার অনেকদিন ঘরে রেখে খাওয়া যায়| এর শাকও পুষ্টিকর।
মিষ্টি কুমড়া বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। মিষ্টি কুমড়ার শিকড় যথেষ্ট বিস্তৃত। কচি মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে এবং পাকা ফল দীর্ঘদিন রেখে সবজি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পরিপক্ক ফল শুষ্ক ঘরে সাধারণ তাপমাত্রায় প্রায় ৪-৬ মাস সংরক্ষণ করা যায়। মিষ্টি কুমড়া ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর ভিটামিন-এ আছে।
নিরপেক্ষ হাইব্রিড জাত। সারা বছর চাষযোগ্য। ফল চ্যাপ্টা এবং ভিতরের মাংসল অংশ বেশ পুরু ও গাঢ় হলুদ। প্রতিটি ফলের গড় ওজন ৭-৮ কেজি। কাঁচা ও পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়।
এতদিন আমরা একটি পরিচিত উপাদান বিটা ক্যারোটিনের উপকারিতার কথা জেনে আসছি। ক্যান্সার প্রতিরোধ ও হূদরোগ নিরাময়ে বিটা ক্যারোটিনের কথা বলা হয়। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে, বিটা ক্যারোটিনযুক্ত ওষুধ ক্যান্সার প্রতিরোধ নয়, বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বরং আলফা ক্যারোটিনই এখন উপকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গবেষকদের মতে, ফলমূল বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অবহেলিত সবজি কুমড়া যে দীর্ঘ জীবনের সহায়ক উপাদান বহন করছে তা এতদিন জানা যায়নি।


লবঙ্গ হজম ক্রিয়ায় সরাসরি কাজ করে। তাছাড়া এতে ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। পাকস্থলীর রস-ক্রিয়ার শক্তিশালী হয়। রুচি নষ্ট হলে, তা ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। মনকেও প্রসন্ন রাখে। লবঙ্গ কৃমিনাশকের কাজও করে। তবে অম্লপিত্ত বা এসিডিটিতে লবঙ্গ একটি ভাল উপাদান। খাওয়ার পর দুপুরে ও রাতে একটি করে লবঙ্গ চুষে খেলে অম্লপিত্ত বা এসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পেয়ারার উপকারিতা

Posted by sofiq | 10:10 PM Categories:
















পেয়ারার উপকারিতা
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। অন্যান্য সাইট্রাস ফল, যেমন—কমলালেবুর তুলনায় পেয়ারায় ৫ গুণ বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে।
পেয়ারায় রয়েছে ১৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি।
পেয়ারায় ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স রয়েছে। রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন।
সেইসঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড।

তাজা পেয়ারা
রুম টেম্পারেচারে পেয়ারা রাখুন।
পাকা পেয়ারা পেপার বা প্লাস্টিক ব্যাগে রেফ্রিজারেটরে স্টোর করলে দু’দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
পেয়ারার জুস এয়ার টাইট ও ভেপার প্রুফ পাত্রে রাখুন।
পেয়ারার রং হালকা হলুদ হলে ও কড়া গন্ধ থাকলে বুঝবেন, ওটা পাকা পেয়ারা।
পেয়ারা কেনার সময় খেয়াল রাখবেন, পেয়ারার রং যেন সুন্দর থাকে। খুব বড় বা খুব ছোট আকারের পেয়ারার পরিবর্তে মাঝারি আকারের পেয়ারা কিনুন।
পেয়ারার গায়ে যেন কোনো কালো দাগ না থাকে। ওগুলো পেয়ারার পচন শুরুর দাগ। পাকা পেয়ারায় সুন্দর গন্ধ বেরোয়। হাত দিয়ে টিপলে পাকা পেয়ারা সামান্য গর্ত হবে।

পেয়ারার পুষ্টিগুণ
ভিটামিন, মিনারেল (১০০ গ্রাম), ক্যালরি ৭, ভিটামিন-এ ২৫০ আই ইউ, থিয়ামিন ০.০৭ গ্রাম, নিয়াসিন ১.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৩০২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৯ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭.১ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম।

রোগ উপশমে পেয়ারা
হাই ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অনেক দিন ধরে মেনস্ট্রুয়েসন-এর সমস্যায় পেয়ারা উপকারী।
রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। হার্টের সমস্যায় ভুগলে পেয়ারা খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন-সি সক্রিয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় পেয়ারা।
অ্যাজমা, স্কার্ভি, ওবিসিটি ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা উপকারী। ডায়াবেটিসতো বটেই, ক্যান্সার এমন কি প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারসমৃদ্ধ পেয়ারা ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রোনটেস্টিনাল সমস্যায় উপকারী। কারণ, পেয়ারা পাতায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার জুস সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে। আয়রন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ পেয়ারা কনস্টিপেশন সারাতে উপকারী। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেয়ারা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রুখতে সাহায্য করে। একই কারণে অনেক বডি লোশন বা ফেস ক্রিমের উপাদানে পেয়ারা থাকে। বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ, যেমন—অ্যালজাইমার, ছানি, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ পেয়ারা ডিসেন্ট্রি প্রতিরোধ করে।

কুইক সার্ভিং টিপস
লো-ফ্যাট আইসক্রিম বা ইয়োগার্ট-এর সঙ্গে টপিং হিসেবে পেয়ারার স্লাইস দিতে পারেন।
পেয়ারার জুস দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ফ্রুট পাঞ্চ।
পেয়ারার জেলি পুডিং-এর টপিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন
প্রথমে মাঝখান থেকে পেয়ারা দু’ভাগে কেটে নিন। বিচি ছাড়িয়ে নিন। এরপর পেয়ারার শেলে কটেজ চিজ দিয়ে, লেটুস পাতার সঙ্গে সার্ভ করুন।

মৌরি: প্রকৃতির ওষুধ

Posted by sofiq | 10:00 PM Categories:

মৌরি: প্রকৃতির ওষুধ

প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সভ্যতায় মৌরিকে ওষুধ ও খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হতো। গ্রিকরা এটি শরীরের ওজন কমানো এবং প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করত।
...
মৌরির পুষ্টি ও ওষধিগুণ
মৌরি খনিজ লবণসমৃদ্ধ একটি বীজ। এতে কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে আছে। এ ছাড়া আছে ভিটামিন এ, সি, ই এবং কয়েকটি বি ভিটামিন। মৌরি আঁশসমৃদ্ধ এবং এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভনয়েড।
* মৌরি বায়ুরোগের জন্য উপকারী, তাই এটা জোলাপ বা ল্যাক্সিটেভ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পানিমিশ্রিত মৌরির রস পেট ফাঁপা এবং পেট কামড়ের জন্য উপকারী।
* মৌরি হজমের গোলযোগ এবং পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
* এটা চোখের দৃষ্টিশক্তি এবং প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বাড়ায়।
* মৌরি মুখের প্রদাহ এবং ঠাণ্ডা সারাতে সাহায্য করে। মৌরির পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে এর ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিলে অ্যাজমা এবং ব্রঙ্কাইটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* মৌরি এবং এর পাতার নির্যাস কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
* মৌরির আঁশ কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
* এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সহায়তা করে।
* এটি স্ট্রোক এবং হার্টঅ্যাটাক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
* মৌরি শরীরের ওজন কমাতে এবং শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। মৌরির তেল মালিশ করলে জয়েন্টের ব্যথা কমে।

রোগ নিরাময়ে মৌরি
* সমপরিমাণ ভাজা মৌরি এবং চিনি নিয়ে গুঁড়া করে দুই ঘণ্টা পর পর ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে দুই চামচ পরিমাণ মিশিয়ে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়।
* খাওয়ার পরনিয়মিত এক চা চামচ মৌরি হজম শক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
* চার চা চামচ মৌরি ২০০ মিলি পানিতে মিশিয়ে ১০০ মিলি না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। এরপর ঠাণ্ডা করে পান করুন।
* রাতে ঘুমানোর আগে আধা চা চামচ মৌরি চূর্ণ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে।
* সমপরিমাণ মৌরি এবং জিরা ভেজে নিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। প্রতিদিন খাবারের পর এক চা চামচ করে চিবান, হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
* সামান্য ঘি বা মাখন দিয়ে মৌরি ভেজে বোতলে ভরে রাখুন। যখন ধূমপানের ইচ্ছা জাগবে আধা চা চামচ চিবান, নেশা কমে যাবে।

Friday, January 11, 2013


চুল পরা হালকা থেকে সম্পূর্ণ টাক অবধি হতে পারে। অনেক করাণে চুল পরতে পারে। বড় অসুখ থেকে সেরে ওঠার পরে চুন পরে যেতে পারে, সার্জারির পরে, মায়েদের সন্তান প্রসব করার পরে কখন কখন এটা হয়। অল্প স্বল্প চুলতো পরেই তবে টাক পরে যাওয়াটা স্বাভাবিক নয়।
















ঔষধের প্রতিক্রিয়া
ঔষধের কারণে হঠাৎ চুল পরে যেতে পারে এবং সারা মাথার চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অসুখ হওয়ার কারণে শারীরিক অসুস্থতার কারণে চুল পরতে পারে। যেমন থাইরয়েড হলে (হাইপোথাইরয়েডিসম বা হাইপারথাইরয়েডিসম), সেক্স হর্মনের ব্যালান্স নষ্ট হলে বা নিউট্রিশানের অভাবে আইরন, জিঙ্ক, বা/ও টিনের অভাবে। যারা খাবার খুব মেপে বা বেছে খায় বা যে সকল মহিলাদের খুব বেশি রজঃস্রাব হয়।
মাথায় ফাংগাল ইনফেকসান হলে মাথার কোন অংশে টাক পরে যেতে পারে ফাংগাল ইনফেকসান হলে এই কারণেই অনেক সময়ে বাচ্চাদের কোন কোন অংশে চুল পরে যায়।
বংশগত টাক পরার ধাত ছেলেদের চুল পরার একটা ধরণ আছে (প্রথমে মাথার সামনে তার পর মাথার মাঝখান)
এটা বেশির ভাগ পুরুষদের হয় এবং এটা অল্প বয়সেই শুরু হতে পারে। এটা তিনটি কারণে হতে পারে, বংশগত, হর্মনের জন্য বা বয়স বাড়ার ফলে। মহিলাদের চুল পরা সামনে থেকে না হয়ে মাথার মাঝখান থেকে শুরু হয়।
উপসর্গ
রোজ50 থেকে 100 টা চুল পরা স্বাভাবিক এর থেকে বেশি পরলে চিন্তার বিষয়। পাতলা চুল হলে টাক দেখা যায় বেশি করে।
নিবারণ করা
চুল পরা কিছু মাত্রায় কমানো যায় ঠিক ঠাক প্রয়োজনীয় খাবার খেলে, চুলে ব্যবহার করা তেল,সাবান ঠিক করে বাছলে এবং চুল পরা বন্ধ করে এমন ঔষধ খেয়ে। ফাংগাল ইনফেকসান হলে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে কারোর সাথে চিরুনি, টুপি অদলবদল করা যাবে না। বংশগত চুল পরা চিকিত্সার মাধ্যমে সারানো যায়।
কোন খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য একান্ত প্রয়োজন:

গাঢ় সবুজ সবজি ।এতে রয়েছে Vit-A, vit-C যা natural conditionar 'এর কাজ করে
গাঢ় সবুজ শাক ।এতে আছে Vit-E
বিভিন্ন ধরনের been যেমন-শিমের বিচী, মটর শুটি, বরবটি ইত্যাদি। এগুলো প্রোটিনের ভালো উৎস। আরও আছে iron,Zinc, Biotin । Biotin চুল ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট। এগুলো natural conditionar 'এর কাজ করে।( তবে দৈনিক ১ মুঠের বেশি নয়।)
চুল প্রোটিন দ্বারা তৈরী । তাই খাবার তালিকায় প্রথম শেনীর প্রোটিন রাখতে হবে, যেমন-মুরগী, ডিম।
*লাল চাল,লাল আটা অর্থাৎ whole grain খেতে হবে।এতে Zinc, Iron, Vit-B পাওয়া যায়।
Low fat দুধ । এতে calcium আছে, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশকীয় উপাদান protein তো আছেই।
গাজর। Vit-Aএর ভাল উৎস। প্রতিদিন Snacks /salad হিসেবে খাবার তারিকায় রাখুন।
তিসি (Flax seed) চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। মোটা গুড়া করে ১ চাচমচ পরিমান প্রতিদিন খাওয়া উচিত।(এতে omega -3 fatty acid আছে।)
সূর্যমূখীর বীচি চুলকে মজবুত ও ঝলমলে করতে দারুন ভাবে কাজ করে। Dry roast করে ১মুঠ পরিমান খেতে পারেন। লক্ষ্য করুন: সূর্যমূখীর বীচি মশলার দোকান থেকে কিনবেন। গাছ/ফুলের চারার দোকান থেকে কিনবেন না, ওগুলোতে কীটনাশক দেয়া থাকে।

সবশেষ কথা হল, সুস্থ্য চুলের জন্য দরকার Balance Diet।Crash diet, very low calorie diet, FAD diet এর কারণে চুল পরে যায়, ভেঙ্গে যায়,রুক্ষ হয়ে যায়।

ঔষধ হিসেবে লবণ (Salt)।

Posted by sofiq | 12:48 AM Categories:


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সাধারণতঃ আমরা লবণকে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। কোন তরকারী লবণ ব্যতীত খাওয়ার উপযুক্ত হয় না। তাছাড়া লবণ ব্যতীত কোন মসলাই সিদ্ধ হয় না। সুতরাং লবণ খাদ্যের একটা অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। লবণ হজম শক্তি বর্ধক, ক্ষুধা দূরকারী ও মন প্রফুল­কারী। চুকা (টক) ঢেকুর এবং পেটের বায়ূ পরিশোধিত করা এর বৈশিষ্ট্য। হজম শক্তির দুর্বলতা, রক্ত দোষণ, যকৃত ও প্লীহার কমজোরী নিরাময়ে লবণ বিশেষ উপকারী। – সিহ্হাত ও যিন্দিগীঃ পৃঃ ১৩৩
.
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষক্রিয়া দূর করার জন্য লবণ ব্যবহার করতেন।
“হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একদা রাত্রে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায় করছিলেন। সিজদারত অবস্থায় জমীনে হাত রাখলে একটা বিচ্ছু প্রিয় হাবীবকে দংশন করে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিচ্ছুটিকে তাঁর জুতা দ্বারা মেরে ফেললেন। অতঃপর নামায থেকে ফারেগ হয়ে বললেন, এ বিচ্ছুটির উপর আল্লাহর অভিশাপ। কারণ এটা নামাযী ও বেনামাযী কাউকেই ছাড়ে না। অথবা তিনি বললেন, এটা নবী এবং সাধারণ মানুষের কাউকেই রেহাই দেয় না।”
.
“অতঃপর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লবণ ও পানি চাইলেন এবং তা একটা পাত্রে ঢাললেন। অতঃপর ঐ দ্রবণে আঙ্গুল ডুবিয়ে ক্ষতস্থানে মালিশ করলেন। অবশেষে পবিত্র কুরআনের দুটি সূরা তেলাওয়াত করলেন।” – মিশকাতুল মাসাবীহ, বায়হাকী।
.
এখানে এ বিষয়টি বিশেষ ভাবে ল্যণীয় যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু ঝাড় ফুঁক ও দুয়া কালামই যথেষ্ট মনে করে ঔষধ ত্যাগ করেন নাই। অথবা শুধু ঔষধের উপরও নির্ভর করেন নাই। বরং বিষক্রিয়া নষ্ট করার জন্য আক্রান্ত আঙ্গুলের উপর লবণ পানি ঢাললেন এবং সাথে সাথে আল্লাহর কালাম পাঠ করে (বিতাড়িত শয়তান থেকে) আল্লাহর নিকট আশ্রয়ও প্রার্থনা করলেন। মোটকথা, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুয়া ও দাওয়া দুটিকেই সমান গুরুত্বের সাথে দেখতেন। কেননা, রোগ আরোগ্যের দুইটি ওছিলার একটা হলো বস্তুগত এবং অপরটি হলো রূহানী। সুতরাং কেউ যদি একচ্ছত্র শেফাদানকারী আল্লাহকে ভুলে গিয়ে শুধু মাত্র ঔষধের উপর ভরসা রাখে, তার মত বড় দুর্ভাগা আর কে হতে পারে? অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি আল্লাহকে স্মরণ রাখে বটে, কিন্তু তাঁর সৃষ্ট নিয়ামতকে কাজে না লাগায় সেও ভুলের মধ্যে আছে।
.
সর্দি, কাশি এবং গলার সমস্যায় লবণ পানি গড়গড়া খুবই উপকারী। শরীরের হাড্ডি ভেঙ্গে গেলে বা মচকে গেলে সামান্য উষ্ণ পানিতে লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান ঐ লবণ পানিতে ডুবিয়ে রাখলে অথবা সেখানে পানি ঢাললে বর্ণনাতীত উপকার পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ।

Thursday, January 10, 2013













লক্ষণ ও উপসর্গ
১. পিঠের পেছনদিকে উদরের নিচে ব্যথা|
২. পস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ব্যথা হওয়া সহ অন্যান্য অস্বস্তিকর অনুভূতি।
৩. পুন:পুন: পস্রাবের তাগিদ অনুভব কিন্তু খুবই সামান্য পস্রাবের নির্গমন।
৪. ঘোলাটে, কড়া গন্ধযুক্ত এবং রক্ত সমন্বিত পস্রাবের নির্গমন।
৫. পস্রাবের সাথে হলদেটে পদার্থের নির্গমন (মূত্রনালী দিয়ে)
৬. মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনের সময় পীড়াদায়ক অনুভুতি বা ব্যথা পাওয়া।

কী করা উচিত
১. মদ, ক্যাফেইন, মশলাযুক্ত খাবার এবং এসিড সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করুন কেননা এগুলো আপনার পিত্ত থলিকে আরও বেশি সমস্যায় আক্রান্ত করে।
২. দৈনিক আট থেকে দশ গ্লাশ পানি খাবেন যাতে করে আপনার পস্রাবে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো গলে পস্রাব দিয়ে বেরিয়ে আসে। (তবে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে যাবার আগে বেশি পানি খাবেন না, নচেৎ আপনার পস্রাবের ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব ঠিকমতো উদঘাটন করা সম্ভব হবে না।)
৩. একটা গরম কিছু বা হট ওয়াটার ব্যাগ বা বোতল চেপে ধরে ব্যথার þহানে রাখতে পারেন।
৪. যদি পস্রাবের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে দেয়া এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো আপনার শরীরে ইস্ট বা ছত্রাকের আক্রমণ ঘটায় সেক্ষেত্রে টক দই খেতে পারেন। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম।

কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ
১. যদি তীব্র ব্যথা জেগে ওঠে এবং এই ব্যথা আপনার পাঁজর পেছনে নিচ থেকে শুরু হয়ে আপনার যৌনাঙ্গের দিকে বয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো কিডনিতে পাথরের সমস্যা।
২. যদি আপনার জ্বর থাকে এবং জ্বর দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং আপনার পিঠে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা হয়, কিংবা আপনার কোমরের কাছে বা কোমরের উপরে ব্যথা করে, সেক্ষেত্রে আপনার কিডনিতে ক্ষতের সমস্যা রয়েছে।
৩. আপনি যদি নারী হন এবং পস্রাবের সময় যদি কষ্ট হয় এবং সেই সাথে যদি একটানা ব্যথা থাকে আপনার পিঠের নিম্নাংশে কিংবা তলপেটে বা উদরে; যদি যৌন মিলনের সময় কষ্ট হয়, এবং/কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, কিংবা হঠাৎ হঠাৎ না হয় বা হলে খুবই বেশি রক্তপাত হয়। সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো ডোমাটরিওসিস বা পেলভিক ইনফ্ল্যামেটোরি ডিজিজ হয়েছে।
৪. যদি পস্রাবে কষ্ট হয় এবং একইসাথে উদ্ভট কোন পদার্থ পস্রাবের সাথে শিশ্ন কিংবা যোনী পথ দিয়ে নির্গত হয় সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো যৌন সাহচার্য ঘটিত সংক্রামক কোন রোগ হয়েছে।
৫. যদি আপনি একজন পুরুষ হন এবং পস্রাবের সময় আপনার জ্বালা-পোড়া হয় কিন্তু পুন:পুন: পস্রাবের তাগিদ অনুভব করেন, পস্রাব থেমে থেমে নির্গত হয়, বীর্যপাতে কষ্ট হয়, কিংবা পেলভিস বা শ্রোণীতে কিংবা পিঠের নিম্নাংশে যদি ব্যথা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো প্রস্টেট-এর সমস্যা রয়েছে।
৬. যদি আপনার পস্রাব রক্তাক্ত দেখা যায় কিংবা ঘোলাটে দেখা যায়
৭. যদি আপনার পস্রাবে জ্বালা পোড়া হয় কিংবা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে।
৮. যদি এই লক্ষণগুলো অপসারিত না হয় এবং চিকিৎসা স্বত্তেও লক্ষণগুলো আবার জেগে ওঠে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেনঃ
১. প্রতিদিন নূন্যতম আট গ্লাস পানীয় খান সাথে পানি প্রচুর পরিমাণে পান করুন। ক্রানবেরির জুস খেতে পারেন, এটা মাঝে মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হওয়া থেকে শরীরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
২. পস্রাবের তাগিদ অনুভব করলে পস্রাব দমিয়ে রাখবেন না। এবং প্রতিবার পস্রাবের সময় আপনার মূত্রথলিটি পুরোপুরি খালি হচ্ছে কি না সে বিষয়ে যত্নশীল হোন।
৩. যৌন সংসর্গের আগে ও পরে যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলুন, কেননা এর ফলে যৌনমিলনের দরুন আপনার যৌনাঙ্গে কোন ব্যাকটেরিয়া গিয়ে থাকলে সেটা বেরিয়ে আসবে।
৪. বুদবুদ ওঠা পানিতে স্নান এড়িয়ে চলুন এবং সুগন্ধীযুক্ত টয়লেট্রিজগুলোও বর্জন করুন। একটা মৃদু এবং গন্ধহীন সাবান নিয়ে আপনার নিম্নাঙ্গের পরিধেয়গুলো ধৌত করুন। সুগন্ধীযুক্ত এবং রুক্ষ বা ক্ষারীয় পণ্যগুলো মূত্রনালী এবং এর চারপাশের ত্বকে প্রদাহ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৫. সুতির কাপড়ের তৈরি নিম্নাঙ্গের বস্ত্রাদি পরিধান করুন এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন।
৬. আপনার যৌনাঙ্গ প্রতিদিন একবার পরিস্কার পানি দিয়ে ধৌত করুন।

মহিলাদের ক্ষেত্রে:
১. আপনি যদি ডায়াফার্ম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে এটা উষä ফেনায়িত জলে ধুয়ে সাবধানে জল নিংড়িয়ে শুকতে দিন। যদি আপনার ইনফেকশান বা ক্ষতগুলো পুন:পুন: জন্মাতে থাকে সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন সেটা কি ডায়াফার্মের সঠিক আকার না হবার কারণে ঘটছে কি না। যদি আকার পরিবর্তন করার পরও আপনার সমস্যার সমাধান না হয় সেক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রনের অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
২. মূত্রনালীকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখতে সবসময় টয়লেট থেকে বেরোবার আগে নিজেকে ভালোভাবে পরিস্কার করে নিন।

Signs and Symptoms:
1. Pain in the lower abdomen of lower back.
2. Burning, stinging, or other discomfort when urinating.
3. Frequent urination, but with small amounts of urine passed each time.
4. Cloudy, strong-smelling, or blood tinged urine.
5. Yellow discharge from the urinary tube (urethra).
6. In women, pain experienced during sexual in intercourse.
What to do now
1. Avoid alcohol, caffeine, and spicy or very acidic foods that may further irritate the bladder.
2. Drink eight to ten glasses of water a day to dilute the concentration of bacteria in your urine. (But don’t drink lots of water if you’re going to see your doctor; this can dilute your urine sample, skewing the results of your test).
3. Use a heating pad or hot-water bottle to ease your pain.
4. Eat plain yogurt if you get a yeast infection after taking antibiotics prescribed for your urinary tract infection. The bacteria in the yogurt help control yeast.

When to call a doctor:
1. If your have a sharp pain that comes in waves, beginning in the back below the ribs and moving toward the groin; you may have kidney stones.
2. If you have a rapidly rising fever and sudden, intense pain in your back, near or above your waistline; you may have a kidney infection.
3. If you are a woman and painful urination is accompanied by tenderness and a dull ache or pain in your lower back and abdomen; pain during intercourse; and/or irregular, missed, or unusually heavy menstrual periods. You may have a dometriosis  or pelvic inflammatory disease.
4. If painful urination is accompanied by an abnormal discharge from the penis or vagina; you may have a sexually transmitted disease.
5. If you are a man and painful urination is accompanied by a frequent need to urinate, an interrupted urinary stream, painful ejaculation, or pain in the pelvis or lower back. you may have a prostate problem.
6. If your urine looks bloody or very cloudy.
7. If you experience painful urination or the symptoms of a urinary tract infection.
8. If your symptoms don’t go away or if they come back despite treatment.

How to prevent it:
1. Drink eight glasses of fluids-including lots of water-each day. Try cranberry juice, too, which can sometime discourage an infection from developing.
2. Don’t postpone urinating when you have the urge to go. And empty your bladder completely every time your urinate.
3. Wash before and after sex, this helps flush out bacterial that may have entered the urinary tract during intercourse.
4. Avoid bubble bath and scented personal hygiene products. Use a mild, unscented detergent to launder underwear; scented or harsh products can irritate the skin around the urethra making infection more likely.
5. Wear cotton-crotch underwear and loose fitting clothes.
6. Wash genitals with plain water once a day.
For woman:
1. If you use a diaphragm, wash it after each use with warm, soapy water, then carefully rinse it and dry it. If you have repeated infections, ask your doctor to check whether it fits properly. If a different size doesn’t help, consider using another method of birth control.
2. To keep the urinary tract free of bacteria, always wipe yourself from to back after using the toilet.

Wednesday, January 9, 2013



সম্মানিত ভাই, প্রিয় বাংলাদেশে আল্লাহ তায়ালা অনেক নিয়ামত দিয়েছেন। বর্তমানে মৌসুমী শাক-সবজীতে ভরপূর বাংলাদেশের নিভৃত পল্লী, গ্রাম-গঞ্জ, শহর-নগর সর্বত্র। এসকল শাক-সবজীর মধ্য থেকে বেগুন অতি সুপরিচিত এবং সহজ লভ্য একটি জিনিস। বাঙ্গালী বেগুনের ভর্তা থেকে শুরু করে কত ভাবে যে বেগুনের ব্যবাহার করে থাকে তা বলা মুশকিল। কিন্তু অনেকেই জনি না এই বেগুনের গুণাগুণ সম্পর্কে। যার কারণে, অনেকে বলেন, যার নেই কোন গুণ তার নাম বেগুন। কিন্তু গবেষকগণ প্রমাণ করেছেন, এটি শুধু একটি তরকারীই নয় বরং এতে রয়েছে রোগমুক্তিসহ বহু উপকারিতা। তবে আসুন, চট-জলদি এই বেগুনের গুণাগুণগুলো জেনে নেই।
বেগুন বাজারে দুপ্রকার দু রঙের পাওয়া যায়। সাদা ও বেগুনী। বেগুনি বা কালো বেগুনের গুণ অনেক বেশী। বেগুন যত কচি হবে তাতে গুণ তত বেশী থাকবে। এ রকম কচি বেগুন খেলে শরীরের বল বৃদ্ধি পাবে। অত্যধিক বীজ যুক্ত বেগুন বিষের মত ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়।
সংস্কৃত শ্লোকেই আছে, ‘বৃন্তাকং বহু বীজাণাং বিষম্ বৃন্তাক’ অর্থাৎ বেগুন বেশী বীজ যুক্ত হলে বিষ।

বৈজ্ঞানিকদের মতেঃ বেগুনে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন এবং কিছু কিছু লবণ কম বা বেশীমাত্রায় আছে। এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ও লোহাও আছে। খাদ্যগুণ ও ভিটামিন বেশী থাকায় এবং দামেও সস্তা হওয়ায় বেগুন নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, নাম বেগুন হলে কি হবে? তাতে কিন্তু অনেক গুণ আছে। বেগুনের এই সব গুণ দেখে এবং বেগুনের তরকারি ও বেগুন পোড়া খেয়ে মুগ্ধ হয়ে একজন বৈদ্য কবি তার ‘ক্ষেম-কুতূহল’ নামক গ্রন্থে বেগুনকে ‘শাক নায়ক’ অর্থাৎ তরকারির মধ্যে প্রধান ভূমিকা, এই উপাধি দিয়েছেন।
বেগুন গুণের আরও অনেক ব্যাখ্যা আছে। সংস্কৃতে আছে, বেগুনের আরও নাম আছে। সংস্কৃতে গোল বেগুনকে বলা হয় বৃত্তফলা। যে বেগুনে শাস বেশী থাকে অর্থাৎ পুরুষ্টু বেগুনকে বলা হয় মাংসফলা। বেগুন অনেক দিন ধরে গাছে থাকে বলে বলা হয় সদাফলা। রাত রোগের পক্ষে উপকারী বলে বেগুনের আর একটি নাম বাতিঙ্গা। বেগুন অনিদ্রা রোগ দূর করে এবং বেগুন খেলে ভালো ঘুম হয় বলে এর আর একটি নাম হল নিদ্রালু।

ভাব প্রকাশের মতঃ তার মতে, বেগুন স্বাদু, তীক্ষ, উষ্ণ, কটুবিপাক, অপত্তিকর, জ্বর, বাত ও কফনাশক, অগ্নিবর্ধক, শুক্রজনক ও লঘুপাক। বার মাস যে বেগুন পাওয়া যায় তা বায়ু ও কফ নাম করলেও রক্তপিত্তকর। পুরনো গাছের ও বেশী বীজয্ক্তু বেগুন চুলকানি ও চর্মরোগ হয়। সেজন্যে যাদের চুলকানি ও পাঁচড়া আছে তাদের বিচিওয়ালা বেগুন একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
বৈদ্যরাজ চরকঃ তিনি বলেছেন, বেগুনের রসে মধু মিশিয়ে খেলে কফজনিত রোগ দূর হয়।
বিখ্যাত বৈদ্য চক্রদত্ত বলেছেন, বেগুন জ্বরঘ্ন সেজন্যে কচি ও শাসালো বেগুন খেলে জ্বর সারে।
বৈদ্য বঙ্গসেন বলেছেন, আগের দিন সন্ধ্যাবেলা বেগুন ভালোভাবে সিদ্ধ করে পরের দিন তার শাঁস মধু দিয়ে মেখে খেলে অনিদ্রা দূর হয়। বেগুন একেবারে পুড়িয়ে ছাই করে সেই ছাই বা ভস্ম গায়ে মাখলে চুলকানি ও চর্মরোগ সারে।

সুস্থ্য থাকতে বেগুন। ১০টি গুণের সমাহার:
১) কচি বেগুন পুড়িয়ে রোজ সকালে খালি পেটে একটু গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার দরুন লিভার বেড়ে যাওয়া কমে যায়।
২) লিভারের দোষের জন্যে যদি চেহারায় হলদেটে ভাব আসে সেটাও ক্রমশ কমে যায়।
৩) যাদের ঘুম ভালো হয় না তারা যদি একটু বেগুন পুড়িয়ে মধু মিশিয়ে সন্ধ্যাবেলা চেটে খান তাহলে তাদের রাত্রে ভালো ঘুম হবে।
৪) বেগুনের তরাকারি, বেগুন পোড়া, বেগুনের স্যুপে, রোজ যদি একটু হিং ও রসুন মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে রায়ুর প্রকোপ কমে।
যদি কারো পেটে বায়ুগোলকের সৃষ্টি হয়ে থাকে সেটাও কমে যায় বা সেরে যায়।
৫) মহিলাদের ঋতু ঠিক মতো না হলে বা কোন কারণে বন্ধ হয়ে গেলে তারা যদি শীতকালে নিয়ম করে বেগুনের তরকারি বাজরার রুটি এবং গুড় খান তাহলে উপকার পাবেন। অবশ্য যাদের শরীরে গরমের ধাত বেশী তাদের পক্ষে এটা না খাওয়াই ভালো।
৬) নিয়মিত বেগুন খেলে মূত্রকৃচ্ছ্রতা সারে।
৭) প্রস্রাব পরিস্কার হওয়ায় প্রারম্ভিকা অবস্থার কিডনির ছোট পাথরও গলে গিয়ে প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়।
৮) মুরগীর ডিমের সাইজের ছোট গোল সাদা বেগুন অশ্বরোগের পক্ষে উপকারী ভূমিকা রাখে।
৯) বেগুনের পুলটিস বাঁধলে ফোঁড়া তারাতাড়ি পেকে যায়।
১০) বেগুনের রস খেলে ধুতুরোর বিষ নেমে যায়।
  • RSS
  • Delicious
  • Digg
  • Facebook
  • Twitter
  • Linkedin
  • Youtube