প্রোটিনের উৎস শিম........
শিম সুস্বাদু, পুষ্টিকর,
আমিষের একটি ভালো উৎস। এটি সবজি হিসেবে এবং এর শুকনো বীজ ডাল হিসেবে খাওয়া হয়। শিমের
পরিপক্ব বীজে প্রচুর আমিষ (প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ) ও স্নেহজাতীয় পদার্থ আছে। শিমগাছ
শিকড়ের সাহায্যে বাতাস থেকে নাইট্রোজেন আবদ্ধ করে মাটিকে উর্বর করে।
শিমের পুষ্টি উপাদান
আহার উপযোগী প্রতি ১০০
গ্রামে কচি শুঁটিতে পানি ৮৫ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৮ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩ গ্রাম, শর্করা
৬.৭ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম , খনিজ লবণ ০.৪ গ্রাম, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন
সি, ক্যালসিয়াম ২১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৭ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৮৭ মাইক্রো মিলিগ্রাম
এবং আঁশজাতীয় উপাদান বিদ্যমান।
পরিপক্ব শুঁটিতে পানি
কম থাকে এবং কিছু উপাদান বেশি থাকে। যেমন_শ্বেতসার ৬০ গ্রাম, আমিষ ২৫ গ্রাম, স্নেহ
০.৮০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম, তাপশক্তি ৩৪০ কিলোক্যালরি।
উপকারিতা
- আঁশ-জাতীয় অংশ খাবার
পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ডায়রিয়ার প্রকোপ কমায়।
- রক্তে কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমায়, যা প্রকারান্তরে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
- পাকস্থলী ও প্লিহার
শক্তি বাড়ায়, শরীরের ভেতরের গরম ভাব দূর করে।
- লিউকোরিয়াসহ মেয়েদের
বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, শিশুদের অপুষ্টি দূরীভূত করে।
- মাছসহ বিভিন্ন খাবারের
ফুড পয়জনিং প্রতিরোধী অ্যান্টিডোট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
- শিমের ফুল রক্ত আমাশয়ের
চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।
সতর্কতা
শিমে সামান্য পরিমাণে
ক্ষতিকর সায়ানোজেনিক গ্লুকোসাইড আছে। কাজেই শিম পরিমাণে খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। শুকনো
শিমে এই উপাদানের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি। তাই শিমের শুকনো বিচি রান্না করার সময় অবশ্যই
একবার পানি পরিবর্তন করা উচিত। শিম খেলে অনেক সময় বমি বমি ভাব হতে পারে।
Facebook Comments Plugin Bloggerized by BD WEBDESIGN
0 comments:
Post a Comment