Saturday, January 5, 2013



গ্রীন টি বা সবুজ চা। জাপানি ভাষায় এটাকে বলা হয় "ওচা"! এটা মানুষের স্বাস্হ্যর জন্য উপকারি একটি চা পাতা। ৪০০০ বছর পূর্ব চায়নাতে মাথা ব্যাথার ঔষধ হিসাবে এটার ব্যাবহার কার্য শুরু হয়। এরপর সময়ের ব্যাবধানে চায়না, জাপান, কোরিয়া সহ পশ্চিমেতেও এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়।

পশ্চিম ও এশিয়ার গবেষকরা গ্রীন টি এর মধ্য অনেক রোগের ঔষধ অবিস্কার করেন। ১৯৯৪ সালে Journal of the National Cancer Institute প্রকাশিত একটা Journal এ বলা হয় , সবুজ চা পানে ৬০% চাইনিজদের esophageal cancer দুর করা সম্ভব হয়েছে। University of Purdue এর গবেষকরা আবিস্কার করেন সবুজ চা cancer cells প্রজনন প্রতিরোধ করে। আরো অন্যান্য গবেষনায় জানা যায়, সবুজ চা শরিরের টোটাল কোলেসটোরেল লেভেলের উন্নতি হয়। সবুজ চা এর প্রধান ক্যারিশমাটা হলো এর একটা উপাদান epigallocatechin gallate (EGCG) যাহা একটি powerful anti-oxidant। EGCG কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই শরিরের cancer cells প্রজনন ক্ষমটা একদম নষ্ট করে ফেলে। সবুজ চা পাতার উপর গবেষনা থেকে প্রাপ্ত কিছু ফলাফল সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নে প্রদত্ত হলো:
১। Cancer প্রতিরোধ করে।
২।Alzheimer’s বা মেমরি লস এবং Parkinson’s বা ধিরগতি জন্য উপকারি।
৩। Heart diseases and Heart attacks এর risk কমায়।
৪। রক্তে এ cholesterol এর মাত্রা কমায়।
৫। Improves the ratio of good cholesterol to bad cholesterol
৬। Cardiovascular disease এর risk কমায়।
৭। Infection কার্যকর হওয়ার রিস্ক কমায়।
৮। কিডনি রোগের জন্য উপকারি।
৯। ডায়াবেটিকস এর জন্য উপকারি।

Camellia Sinensis পাতাকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে গ্রীন টি বা সবুজ চা উৎপাদন করা হয়। নিচে Camellia Sinensis পাতা থেকে সবুজ চা তৈয়ারি করার প্রক্রিয়া প্রদত্ত হলো:


ছবি ২: Camellia Sinensis পাতা থেকে চা তৈয়ারি প্রক্রিয়া।

ঠিক ব্লাক টি (আমরা যেটা খাই) এর মত। কিন্তূ প্রক্রিয়াটা এক পর্যায়ে এসে আলাদা হয় (২ নং ছবিতে দেখুন)। এটার সামান্য একটা দূর্বল দিক হলো, এটাতে সামন্য পরিমানে একটু caffeine থাকে যা ব্লাক টি এর caffeine এর মত শরিরের জন্য এত মারাত্বক বা ক্ষতিকর না। তবে এর রোগ প্রতিরোধের কার্যকারিতার দিকে তাকালে অনায়াসেই এই দূর্বলতা বাদ দেয়া যায়।

আমার ব্যাক্তিগত গবেষনায় ডায়াবেটিকস (আমি নিজে), গ্যাষ্টিক (আমার বাবা), কষ্ঠকাঠিন্য (বন্ধু) ও ইউরিন ইনফেকশনের রোগির (আমার ছোট ভাই) উপর গবেষনা চালিয়ে সবার কাছ থেকেই পসিটিভ রেজাল্ট পেয়েছি।



ছবি ৩: প্রক্রিয়াজাত সবুজ চা পাতা ।

আমার একবার কিডনিতে পাথর ধরা পরে। পরে ESWL ব্যাবহার করে পাথর অপসারন করা হয়। যার ফল স্বরুপ শরিরে ডায়াবেটিকস ধরা পড়ে। জাপানি ডাক্তার কোন ঔষধ না দিয়ে দিনে ৩/৪ লিটার সবুজ চা খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিছু দিন পর টেষ্ট করে দেখি রেজাল্ট পজিটিভ, মানে ডায়াবেটিস আর নাই। এখন নিয়মিত প্রতিদিন ৪/৫ লিটার সবুজ চা পান করি।

মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে আমি আমার বাবার উপর একটা ইকসপেরিমেন্ট চালাই। উনি অনেক বছর ধরে গ্যাসটিকে ভুগছিলেন। প্রতিদিন ওনাকে ৩/৪ লিটার ওচা খাওয়ার পরামর্শ দিলাম। মাত্র ১ সপ্তাহেই ওনার গ্যাসটিক শেষ। বর্তমনে উনি গ্যাসটিক থেকে মুক্ত।

কিডনি, ডায়াবেটিক্‌স ও ইউরিন ইনফিকশন রোগিদের জন্য দৈনিক সাধারনত ৩ লিটার পানি খেতে ডাক্তাররা পরামর্শ দেন। আমার পরামর্শ হলো, ৩ লিটার পরিমান গরম পানিতে কিছু পরিমান সবুজ চা পাতা বা একটা সবুজ টি প্যাকেট ছাড়িয়ে দিন। পানি ঠান্ডা হলে প্রটি ২ ঘন্টায় ১ গ্লাস করে পানি পান করুন। এই ভাবে দিনে ১২ গ্লাস পানি শরিরের জন্য বেশ উপকারি বিশেষ করে কিডনি, ডায়াবেটিকর্স ও ইউরিন ইনফেকশনের রোগিদের জন্য। তবে, সাধারন লোকদের জন্য আমার পরামর্শ হলো, দৈনিক ৪ গ্লাস বা ১ লি. শরিরের জন্য খুবই উপকারি হবে এবং আপনার শরিরের অনেক রোগ প্রতিরোধ করবে। বেশি করে সবুজ চা পান করুন স্বাস্হ্য ভালো রাখুন!!

বাংলাদেশের বড় যে কোন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ইহা পাওয়া যেতে পারে।

....................................................................................
পরবর্তি আর্টিক্যাল :
১। সবুজ শ্যাওলা (জ্বলজ উদ্ভিদ): ভবিষ্যত প্রজন্মের ফুড বা সুপার নিউট্রেশন ফুড।
২। সামুদ্রিক লাল শ্যাওলা (নরি): জাপানিজ সি ভেজিটেবল। একটি প্রোটিন ফুড।
৩। ফটো সেন্সর, হাই স্পিড কমিউনিকেশন ক্যামেরা, রোবোট আই ও বায়োমেডিক্যাল সেন্সরের আর্কিটেকচার ও এর অ্যাপলিকেশন।
৪। প্রস্তাবিত ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ও একটি সুপার ডিজিটাল ডাটাবেজ মডেল।
৫।বাংলাদেশের গ্রামীন অর্থনীতি উন্নয়নে বা দরিদ্র বিমোচনে যাকাতের প্রভাব ও এর বাস্তব প্রয়োগ।
Facebook Comments Plugin Bloggerized by BD WEBDESIGN

0 comments:

Post a Comment

  • RSS
  • Delicious
  • Digg
  • Facebook
  • Twitter
  • Linkedin
  • Youtube